বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান তিন কারণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৬:২৭,অপরাহ্ন ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
লাইফস্টাইল ডেস্ক :: পরিণত বয়সের ছেলেমেয়েরা বিয়ে, সংসার, সন্তান জন্মদানের মধ্য দিয়ে জীবনের সফল পরিণতির সূচনা করবে। নিজের ইচ্ছায় হোক আর বাবা-মায়ের ইচ্ছাতেই হোক দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার আশায় শুরু করে একসঙ্গে পথচলা। তবে কখনো সে সুখে ছেদ পড়তে দেখা যায়। এমন কিছু ঘটনা ঘটে যাতে দুজনে আলাদা হয় বিয়ের সম্পর্ককে ছিন্ন করে। বিয়ের সম্পর্ক ছিন্নকারী ছেলেমেয়ের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিয়ের সম্পর্ক ছেদ করার জন্য প্রধান তিনটি কারণকে দায়ি করা যায়।
অলসতা
অলসতাকে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে। অনেক ছেলেমেয়ে আছে যারা বিয়ের আগেও কর্মবিমুখ থাকে, বিয়ের পরেও সেই স্বভাবে পরিবর্তন আসে না। কর্মবিমুখতা একে অপরের প্রতি যত্নশীল দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ করে দেয়। সংসারের প্রধান স্বামী যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তবে স্ত্রী তার প্রতি শ্রদ্ধা হারায়। নিজের অভাব পূরণ না করতে পেরে স্ত্রী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সব কিছুই অসহ্য লাগে। কখনো তার মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতাও দেখা দেয়। সংসারে শুরু হয় অশান্তি। তার জের ধরে সমাধান মেলে বিবাহ বিচ্ছেদে।
যোগাযোগের অভাব
একে অপরের সঙ্গে মতের যথেষ্ট আদান-প্রদান ঘটাতে না পারলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কেউ কারো ওপর কোনো কর্তৃত্ব করার অধিকার ভোগ করতে না পারলে, দায়িত্ব পালনের চেষ্টা না থাকলে দূরত্ব বাড়ে। দিনের পর দিন দুজনের বেপরোয়া চলাফেরায় বিষিয়ে ওঠে সম্পর্ক। একে অপরের সঙ্গে মনের একান্ত কথা ভাগাভাগি করে নিতে না পারলে কেউ কারো প্রয়োজন বোঝে না। কেউ কারো প্রতি যত্নশীল হয় না। ফলে গড়ে ওঠে মায়া মমতাহীন নামমাত্র সংসার। একসময় দেখা যায় সে সম্পর্কে ছেদ পড়ে যায়।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা
বিয়ের পরও যদি কেউ কাউকে নিজের যোগ্য মনে না করেন তাহলে সম্পর্কে দুরত্ব বেড়ে চলে। দুজনের যে কারো মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা লোভের বসবাস শুরু হলে চাওয়া পাওয়া বেড়ে যায়। চাওয়া মেটানো সম্ভব না হলে একে অপরকে সহ্য করতে পারে না। উচ্চাকঙ্ক্ষায় একপক্ষের অন্ধ আচরণ অপরের প্রতি বিতৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। ছোট খাটো ব্যপারে ঝগড়া বাধতে থাকে। একসময় তা রূপ নেয় বিবাহ বিচ্ছেদে।