বিজিবি সদস্যকে ফেরত দেবে বিজিপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৭:৪৪,অপরাহ্ন ১৯ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপি।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এক পতাকা বৈঠক শেষে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার এম এম আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের জলসীমায় পাচারকারীদের নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আরও ৩৭ জনকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে এ পতাকা বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুতে এসব বাংলাদেশিকে বুঝে নেওয়ার পর বিজিবি কমান্ডার আনিসুর সাংবাদিকদের বলেন, পতাকা বৈঠকে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে’ গোলাগুলির পর ধরে নিয়ে যাওয়া বিজিবি সদস্য নায়েক রাজ্জাকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তীতে আরও একটি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।’
বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবির সদস্য সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যান সে দেশের সীমান্তরক্ষীরা (বিজিপি)।
টেকনাফ বিজিপির ভাষ্য অনুযায়ী, বিজিবি সদস্যরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে একটি মাছ ধরার ট্রলার থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন। এ সময় পূর্ব দিক থেকে আরেকটি ট্রলারে করে মিয়ানমারের বিজিপি বাহিনীর সদস্যরা এসে বিজিবির নৌকায় গুলি চালায়। এরপর বিজিবি সদস্যরাও গুলি ছুড়ে জবাব দেয়।
মানবপাচারকারী বা চোরাচালানী মনে করে বিজিপি গুলি করায় ভুল বোঝাবুঝিতে অনাকাঙ্ক্ষিত এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার দিন দুপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও সীমান্তে দুই বাহিনীর মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে’ এ গোলাগুলি হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান।