ফুলে ফুলে ভরে গেছে খুলনার শহীদ মিনার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪১:০৬,অপরাহ্ন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে গেছে খুলনার শহীদ মিনারের বেদি। জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ভাষা দিবসে বেদনা আর গর্ব নিয়ে মানুষের সব পথ যেন এক হয়ে মিশে গেছে শহীদ মিনারে। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ এবং সর্বত্র বাংলা ভাষা চালুর প্রত্যয় নিয়ে খুলনায় পালিত হচ্ছে শোক আর গর্বের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি।
কালো ব্যাজ ধারণ করে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসা সর্বস্তরের মানুষের হাতে রয়েছে ফাগুনে ফোটা রঙিন ফুলের স্তবক, কণ্ঠে বিষাদমাখা চিরচেনা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি…।’
একুশের প্রথম প্রহর থেকে শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশসন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে আসা অধিকাংশ মানুষের পোশাকে একুশের চেতনার ছাপ শোকের কালো রং। অনেকেই গালে, হাতে শহীদ মিনারের আলপনা, বর্ণমালা, কবিতার চরণ বা গানের কলি আঁকা। আবার অনেকের টি-শার্ট ও কপালের ফিতায় লেখা যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে। শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সকল বেসরকারি ভবনে সঠিক নিয়মে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
সকাল ৯টায় নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে বাদ জোহর বা সুবিধামত সময়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও দেশের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া কামনা এবং সুবিধামত সময়ে মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
বিকেল ৪টায় ভাষা আন্দোলনে অমর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত অমর একুশের বইমেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এতে ভাষা সৈনিকদের আমন্ত্রণ করা এবং পুষ্পমাল্য প্রদান করা হবে।
শহীদ হাদিস পার্কে এবং খুলনা মিনাবাজারের সামনে সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও একুশের পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। সুবিধামতো সময়ে সিনেমা হল সমূহে সিনেমা স্লাইড প্রদর্শন করা হবে।