নির্বাচনে কারচুপি না হলে বিজয় আমাদেরই হবে —খালেদা জিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৮:২৮,অপরাহ্ন ২৬ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
আসন্ন ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি না হলে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ রাজধানীর গুলশানস্থ তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের পরাজয়ের আলামত সব দিকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই তারা আমাদের প্রচার কাজে বাধা দিচ্ছে ও হামলা করছে। ভোটাররা যাতে ভয় পেয়ে ভোট কেন্দ্রে না যায় তেমন পরিস্থিতি তৈরি করতেই সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা অবাধে টাকা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আমরা সন্ত্রাস ও অপককৌশলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে লড়ে যেতে চাই। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষ একটু সুযোগ পেলেই নিরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে এসব অপতৎপরতা ও অত্যাচারের জবাব দেবে।
খালেদা জিয়া বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। আজ সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। এ সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। বিনা বিচারে দলীয় সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। অল্পকিছুদিন আগে আমি আমার আদরের ছোট ছেলেটিকে (আরাফাত রহমান কোকো) চিরকালের জন্য হারিয়েছি। আমার একমাত্র জীবিত সন্তানটিও নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জীবনের এই প্রান্তে এসে এখনও আমি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারের সময় গাড়িবহরে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই চেয়ারপারসন বলেন, আমাকে হত্যা করার উদ্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। তবে আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গেছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগকে এই হামলার জন্য দ্বায়ী করেন তিনি। এই হামলায় পুলিশ সরাসরি জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ক্ষমতার জন্য আপনি অনেক অপকর্ম করেছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে আপনি নামতে ভয় পাচ্ছেন। আপনি ভয় পাবেন না। আমরা আপনার মত প্রতিশোধপ্রবণ নই। গণতন্ত্র ও সংলাপের পথে আসুন। আমরা আপনাকে নিরাপদে ক্ষমতা থেকে নামতে সাহায্য করবো এবং একই সমতলে নির্বাচন করবো। মানুষ যাকে খুশি, বেছে নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, হান্নান শাহ্, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।