নাগরিক সেবা প্রদানে একটি নাম্বারের ‘ন্যাশনাল কল সেন্টার’
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:২০:২৫,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০১৫
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:: সারাদেশের সব মানুষকে একটি নাম্বারে নাগরিক সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের উদ্দেশে ‘ন্যাশনাল কল সেন্টার’ তৈরি করা হচ্ছে। সে সঙ্গে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে কোরিয়া সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটকে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের আওতায় নিয়ে এসে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাবলিক ওয়েবপোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে একটি নাম্বারের মাধ্যমে নাগরিক সেবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি সম্পন্ন করতে পারলে নাগরিক সুবিধা পাওয়া আরো সহজ হবে।
তিনি বলেন, ১৯৮০ সালে চীন ৩০ বছরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি পরিকল্পনা তৈরি করে। সে অনুযায়ী তারা কাজ করে। একইভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ২০০০ সালে ১৫ বছরের জন্য একই ধরনের মাস্টারপ্ল্যান করে। দু’টি দেশই তাদের পরিকল্পনা তৈরি করে ও তা বাস্তবায়ন করে। আমরাও একইভাবে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যেতে চাই।
আগামী ৪ বছরের মধ্যেই এই কল সেন্টার স্থাপন করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র এক ফোন নম্বরেই নাগরিকরা খুব সহজে সব সরকারি সেবার তথ্য জানতে পারবেন। তিনি বলেন, অনলাইনে সেবা প্রদানের কলেবর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ডেটা সেন্টারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষে বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম টায়ার ফোর সার্টিফায়েড ডেটা সেন্টার গড়ে তোলা হবে ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনলাইনে সেবা প্রদানের কলেবর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ডেটা সেন্টারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষে দেশের ৫ম বৃহত্তম টায়ার-৪ সার্টিফাইড ডেটা সেন্টার গড়ে তোলা হবে এবং সেখানে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি সংযোজন করা হবে, জি-ক্লাউড স্থাপন করা হবে। ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি স্থাপন করা হবে। উদ্ভাবন ও উৎকর্ষতাকে অনুপ্রেরণা প্রদান ও বাস্তবায়নের জন্য একাডেমি ফর ইনোভেশন, ডিজাইন অ্যান্ড এক্সিলেন্স (আইডিএ) স্থাপন করা হবে।
কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কেটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মোবাইল গেমস সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করে নিজেদের তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে। চলমান মোবাইল অ্যাপস কর্মসূচির অভিজ্ঞতার আলোকে এবং মোবাইল অ্যাপস কর্মসূচির বিকাশের স্বার্থে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, একটি যুগোপযোগী সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি স্থাপন করা হবে। বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানাবিধ ব্যবহারের ফলে প্রতিদিন আগের চেয়ে আরো অনেকগুণ বেশি তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে, ফলে বিগ ডেটা অ্যানালিটিকস একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিগ-ডেটা অ্যানালিটিকস ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।