ধূমপান ছাড়তে চাচ্ছেন, জেনে নিন কিছু কৌশল
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৭:০১,অপরাহ্ন ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪
লাইপ স্টাইল ডেস্ক:; ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷ সবাই আমরা জানি৷ কিন্তু জেনেও জানি না, বুঝেও বুঝি না৷ মানে সব জায়গাতেই এই সাইনবোর্ডটা লাগানো থাকে৷ কিন্তু পড়ে আমরা বিজ্ঞের মতো ব্যাপারটা নিয়ে দু মিনিট ভেবে আবার নতুন উদ্যমে আর একটা সিগারেট ধরাতে থাকি৷আমি-আপনি বললেও এটা সত্যি, আর না বললেও ধ্রুব সত্যি৷ কারণ সিগারেট খাওয়ার ফলে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, হার্টের রোগের মতো ভয়ংকর ব্যাধি আমাদের জীবনে থাবা বসাতে পারে জেনেও আমরা এর মায়া থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারি না৷ আর পারি না বলেই আমরা চেষ্টাও করি না৷ হোক বা না হোক, নিদেনপক্ষে চেষ্টাটা শুরু তো করা যেতে পারে-
১. আপনি হয়তো একদিনে ১২-১৫ টা সিগারেট খান৷ আর এমতাবস্থায় আপনাকে পুরোটা ছেড়ে দিতে বললে আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয়৷ তাই চেষ্টা করুন আস্তে আস্তে সিগারেটের সংখ্যাটা কমিয়ে আনতে৷দিনে দশটা খেলে কমিয়ে আনুন সাতটায়, পনেরোটা খেলে আজ থেকেই এগারোটা খাওয়ার দৃঢ় সংকল্প নিন৷ তাহলে দেখবেন একদিন এমন আসবে, যে সারা দিনে আপনি হয়তো একটা সিগারেট খেয়ে দিব্যি রয়েছেন৷
২. পুরোপুরি যদি নিজেকে ধূমপান থেকে মুক্ত রাখতে চান , তাহলে নিকোটিনের স্বাদ আর গন্ধকে কাছে ঘেঁষতে দেবেন না৷তাই আপনার ঘরে ফার্নিচারের নীচে বা চারপাশে অল্প বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখতে পারেন৷ আশেপাশে কেউ সিগারেট খেলেও নাকে আর নিকোটিনের গন্ধ আসবে না৷
৩. সিগারেট ছাড়ার আর একটা ভালো বিকল্প চুইংগাম৷ মুখে চুইংগাম, ললিপাপ বা লজেন্স রাখুন৷ এতে সবসময় চিবোনোর একটা অনুভূতি থাকবে৷ সিগারেটের দিকে মন ছুক ছুক করবে না৷
৪. যদি ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তাহেল প্রথমেই সেইসব জায়গায় যাওয়া এক্কেবারে বন্ধ করে দিন যেখানে আপনি একসময় আয়েশ করে সুখটান দিতেন৷ বা প্রথম যেখানে লুকিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেটে টান দিয়েছিলেন তার দশহাতের মধ্যে পা রাখবেন না৷
৫. সিগারেট না খেয়ে মনটা অশান্ত হয়ে উঠছে? কুছ পরোয়া নেহি৷ পছন্দসই গান চালিয়ে মনটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন৷
৬. ঘরে রুম ফ্রেশনার বা অন্য সুগন্ধী রাখুন৷ আপনার সিগারেট ছাড়ার সহায়ক হবে৷
৭. সকালে ব্রেকফাস্টের পর, দুপুরে লাঞ্চের পর সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আস্তে আস্তে ছাড়ুন৷ চাইলে ওই সময়ে নিজেকে অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত রাখুন৷আর যদি সিগারেটের ধোঁওয়া ছাড়া আপনি কফির কাপের দিকে হাত না বাড়ান, তাহলে সিগারেটের সঙ্গে সঙ্গে কফিটাও বাদ দিয়ে দিন জীবন থেকে৷ চায়ের পেয়ালাতেই আপাতত আপনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে৷
৮. অ্যাশ ট্রে, লাইটার, দেশলাই বাক্স, সিগারেটের প্যাকেট নিজের চৌহদ্দি থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে ফেলুন৷ এগুলো চোখের সামনে থাকলেই সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছেটাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ না-ও করতে পারেন৷
৯. কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত বদলে ফেলুন৷ না হলে যে একদিন মারণরোগের প্রকোপে আপনার জীবনটাই পালটে যাবে৷ কাজের ফাঁকে ফল বা কোনো স্ন্যাকস খেতে পারেন৷ খেতে ইচ্ছে না করলে খানিকক্ষণ কম্পিউটার গেম খেলুন আর তাতেও যদি বসের চোখরাঙানি থাকে, তাহলে অগত্যা ফোনেই না হয় কথা বলে সময় কাটান৷ মন থেকে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছেটা আস্তে আস্তে চলে যাবে৷