তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধানক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৬:০৬,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
কুমিল্লার হোমনায় তুতীয় শ্রেনীর এক ছাত্রী নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রবিবার বিকালে উপজেলার চারকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির বয়স ৮ বছর সে মিঠাই ভাঙ্গা স্বল্পব্যায়ী রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী এবং মিঠাই ভাঙ্গা গ্রামের ওয়ারিশ মিয়ার মেয়ে। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কাল রবিবার উপজেলার মিঠাইভাঙ্গা গ্রামের ওয়ারিশ মিয়ার মেয়ে চারকুড়িয়া গ্রামে তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে ঐ গ্রামের জয়নাল (ছন্দু) মিয়ার ছেলে শিমুল (১৮) মেয়েটিকে ঘুরানোর কথা বলে পাশের এক ধনচা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোড় পুর্বক ধর্ষন করে। প্রচুর রক্ত ক্ষনন হওয়ায় ছেলেটি নিজেই তার নানার ঘরের পিছনে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে তার নানা তাকে হোমনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে । কিন্ত মেয়েটির পরিবার টাকার জন্য ঢাকা নিতে পারছিলনা দেখে হাসপাতালে উপস্থিত হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার পিপিএম তাৎক্ষনিক ভাবে নগদ ৪ হাজার টাকা প্রদান করে পুলিশ প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিকেলের ও সিসিও তে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের নানা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছ।
পুলিশ ও শিশুটির নানা মো. নূরুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবা গত বৃহস্পতিবার বাহরাইনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলে তাকে বিদায় জানাতে মাও সঙ্গে ঢাকা যায়। তখন শিশটিকে তার নানার বাড়ি উপজেলার চারকুরিয়া গ্রামে রেখে যান। গত রোববার পার্শ্ববর্তী বাড়ির জয়নাল আবেদীনের ছেলে শিমুল শিশুটিকে একা পেয়ে কৌশলে পাশের ধনচে ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ সময় শিশুটির আর্ত চিৎকারে নানা-নানি দৌড়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামনা সিকদার বলেন, প্রথমে শিশুটির উন্নত চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য পুলিশের সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। ওসি কামরুজ্জামান পিপিএম বলেন. এটি নিসন্দেহে শিশু ধর্ষণ। মানবিক কারনে তার চিকিৎসার জন্য ৪ হাজার টাকা দান করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত আছে।