তারেককে উন্মাদ বললেন সুরঞ্জিত

‘ইতিহাস বিকৃতি’ করায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহামনকে উন্মাদ বললেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

লন্ডনে তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছেলে তারেককে নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে লন্ডনে স্কুল খুলেছে, ইতিহাসের স্কুল। সেখানে তার একজন গৃহশিক্ষকও আছে। তার ইতিহাস বিকৃতির চেয়ে মস্তিষ্কের বিকৃতি নিয়ে কথা বলা উচিৎ।’

তিনি বলেন, ‘তারেক মন্ত্রী ও নেতাদের নিয়ে কথা বললে ছাড় দেয়া যেতো। সে কোথায় হাত দিয়েছে! তার কি ১৯৭৯ সালে জন্ম হয়েছে? রাষ্ট্রকে বলবো, সব কিছুতে ছাড় দেয়া যায় না। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চলমান রাজনীতি নিয়ে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

লন্ডনে তারেক জিয়া বলেন, ‘শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা করা প্রয়োজন। কারণ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেই তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আইনের দৃষ্টিতে তিনি পাকিস্তানি নাগরিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবৈধ রাষ্ট্রপতি।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘তারেক তোতা পাখি হয়ে যা বলছে, তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। তার এতো বড় স্পর্ধা! এটা কী পাগলামি? আসলে সে উন্মাদ। পাগলামির একটা স্টেজ আছে। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’

কামারুজ্জামানের ছেলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘আমি স্তম্ভিত। যুদ্ধাপরাধীর (কামারুজ্জামান) ছেলে কীভাবে জেলগেটে বলে- আমার বাবা কোনো অপরাধ করে নাই। তার কতো বড় স্পর্ধা! এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টকে জেগে উঠতে বললেন প্রবীণ আইনজীবী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘যারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল দেয় তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। সবকিছু তামাশাভাবে নিলে হবে না। সুপ্রিম কোর্টকে জেগে উঠতে হবে।’

নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, হুমায়ন কবির মিজি প্রমুখ।