ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের ৪৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২০:১৬,অপরাহ্ন ১১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ৪দিন পর আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের ভাই তপন ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২, তারিখ: ১১/০১/১৫ইং। মামলার আসামীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী। কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গত বুধবার আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দ মোহন ঘোষ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ৪৯ জন ছাড়াও আরও অনেকেই এই হত্যাকান্ডে অংশ নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী তপন ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাই আনন্দ মোহন ঘোষকে নিজ দলের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাজী মকশেদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল আহমেদ, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর সোহেল সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য রনি লস্কার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন অপু, যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ সেন্টু, ইমদাদুল হক ইনতা, জাহিদ হোসেন, মিন্টু, বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর আবুল কালাম, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের ভাতিজা নিহাল হাসনায়ন লিপু ও রিংকু সহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ থানায় মামলা দায়ের করেছি।
উল্লেখ্য গত বুধবার বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল ইসলাম আনারের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলায় উপজেলার কোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনন্দ মোহন ঘোষ সহ ১১ জন আহত হন। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দ মোহন ঘোষ মারা যান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আট বছর ধরে কালীগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দুটি ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন দিচ্ছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান। আর অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। এই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রায়ই বিরোধে জড়িয়ে একে অপরের ওপর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।