জেনে নিন , প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার ৭টি কারণ !
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২২:১২,অপরাহ্ন ২৮ জানুয়ারি ২০১৫
লাইফ স্টাইল ডেস্ক :: প্রেমিকদের একটি বড় অভিযোগ হলো, সঙ্গিনী শুধু বিয়ের চাপ দেন। আর প্রেমিকাদের অভিযোগটি হলো, বিয়ের কথা শুনলেই এড়িয়ে যেতে চায় বয়ফ্রেন্ড। মেয়েরা মনে করেন, প্রেম করা অবস্থায় বিয়ের জন্যে চাপ দিতে হয় ছেলেদের। নয়তো অন্য ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের জন্যে শুধু শুধু চাপ প্রয়োগ করা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পার। এ জন্যে ৭টি কারণও দেখিয়েছেন তারা। জেনে নিন এগুলো।
১. পারস্পরিক সিদ্ধান্ত : বিয়ে সব সময় পারস্পরিক সিদ্ধান্তের বিষয়। জোর করে বিয়ে করলে এর ফলাফল খারাপ হতে পারে। সঙ্গী যখন বিয়ে করতে চাইছেন না, তখন পরে হিতে বিপরীত হওয়াটাই স্বাভাবিক।
২. প্রত্যাখ্যান : বার বার বিয়ের চাপ দিলে সঙ্গী বিরক্ত হয়ে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। প্রেমিকের প্রস্তুতি না থাকলে তিনি রাজী হবেন না। আর প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় অতি চাপে তার ইচ্ছার মতিগতি বদলে যেতে পারে। তাই এই বিপদজনক উপায় না নেওয়াই ভালো।
৩. বিয়ে একমাত্রা উপায় নয় : প্রেম করছেন ভালো কথা। কিন্তু আপনাদের দুজনের মন-মানসিকতা এমন হতে পারে যা দিয়ে সংসার টেকানো সম্ভব নয়। এ বিষয় বুঝতে হবে। বিয়ের কথা বলার আগে বুঝে নিতে হবে যে, প্রেমিক আপনার জীবনের জন্যে সঠিক মানুষটি কিনা।
৪. ঝুঁকিপূর্ণ : আর যদিও চাপের মুখে সঙ্গী বিয়ে করতে রাজিও হন, তবে আপনারা দুজনই একটি ঝুঁতি নিতে চলেছেন। এর মাশুল গুনতে হতে পারে। এতে করে দুজনের মনেই চাপের বিষয়টি থেকে যাবে। ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনার স্বামী বলবেন, এ জন্যেই আগেই বিয়ে করতে চাইনি। নিজেকে তখন দোষী মনে হবে।
৫. ভিন্ন মূলবোধ : এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যদি পারিবারিক, সামাজিক বা ধর্মীয় কারণে বিয়ের চাপ দিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে মূল্যবোধের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু আপনাকে নয়, প্রেমিককেও একই মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। একপেশে মূল্যবোধ দুজনকে একসঙ্গে করত পারে না।
৬. নিজেকে বিক্রি : বিশেষজ্ঞের মতে, অন্যের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করা মানে নিজেকে ছোট করে তোলা। মনে হচ্ছে, নিজেকে জোর করে বিকিয়ে দিতে চাইছেন।
৭. বিয়ে নিয়ে আবেশী থাকা : প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিয়ে নিয়ে আচ্ছন্নতা থাকতে পারে। প্রেম-ভালোবাসার পরিণতি তো বিয়ের মাধ্যমেই আসে। কিন্তু তাই বলে চাপের মুখে একে বাস্তবায়িত করা ভুল হতে পারে। এই আচ্ছন্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে হয়তো বেশি সময় লাগবে না। তখন নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।