জেনে নিন ,ঘরোয়া পদ্ধতিতে টাক পড়া রোধের সমাধান
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৫:২০,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৪
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সৌন্দর্য রক্ষায় চুলের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যক্তিত্ব প্রকাশেও নানা রকম চুলের স্টাইল কম যায় না। কিন্তু এর মধ্যে বাধ সাধে নানা সমস্যা। চুল পড়া, চুল পাকা, মাথায় খুশকি হওয়া বিশেষ করে টাক পড়া। একটা নির্দিষ্ট বয়স পরে অনেক পুরুষেরই টাক পড়ে। অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যেও টাক পড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
টাক পড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া বলা হয়। যা শুরু হয় কপালের দুই পাশে রগের কাছ থেকে। তারপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মাথার সামনের দিকে। আস্তে আস্তে পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে এটি হতে পারে। আবার বয়:সন্ধিকাল থেকেই কারও কারও টাক পড়া শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া অল্প বয়সে চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়।
চুলের পুষ্টি আসে ত্বকের পুষ্টি থেকে। ত্বকের পুষ্টির জন্য আমাদের ভালো খাবার খেতে হবে। এছাড়া চুল ভালোভাবে পরিষ্কার না করা, দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদি কারণে মাথায় টাক পড়ে। এক্ষেত্রে দ্রুত ট্রিটমেন্ট ভালো কাজ করে। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুল পড়া, খুশকি রোধ, চুল পাকা রোধ করে টাক পড়া সমস্যা দূর করা যেতে পারে। যেমন-
– মেথিবাটা, পেঁয়াজ, নিমপাতা, লেবুর রস, টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। চুল পাকা রোধ হবে। আপনার ব্যবহৃত চিরুনি ডেটল পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করুন।
– ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালেও খুশকি কমে যেতে পারে।
– তিলের তেল, মেথি গুঁড়ো করে মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে দিন। তারপর ওই তেল দুই মাস ব্যবহার করুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন। পাশাপাশি চুল পড়াও অনেক কমে যাবে।
– পুরোনো তেঁতুল গুলিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া রোধ হবে।