চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে ৪০ স্থাপনা উচ্ছেদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৮:৫৪,অপরাহ্ন ১৮ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামের মতিঝর্ণা এলাকায় এ কে খান কোম্পানির মালিকানাধীন পাহাড় থেকে ৪০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। অভিযানে ওই সব অবৈধ স্থাপনায় থাকা বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি, সদর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (চান্দগাঁও) আফজাল হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) আবু হাসান সিদ্দিকী।
সহকারী কমিশনার সাইফুল বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের পাদদেশে মাটি কেটে তৈরি করা ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়টির মাঝের অংশের উপরিভাগে মাটির ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বাইরে বা নিচে থেকে এসব ঘর দেখা যায় না। সেখানে বেশকিছু টিনশেড ও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দুটি একতলা পাকা ঘরও দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। হানিফ মেম্বার নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী এসব ঘর নির্মাণ করে প্রতিটি সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছে। তবে হানিফ মেম্বারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ এই বসতি নির্মাণে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মদদ রয়েছে বলে সেখানকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন।
উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মেজবাহ সাংবাদিকদের বলেন, এ কে খানের পাহাড়ে প্রায় একশ অবৈধ স্থাপনা আছে। ধারবাহিকভাবে সব উচ্ছেদ করা হবে। কাউন্সিলর মানিকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালীরাই পাহাড় দখল করে। তবে অভিযান চলাকালে আমাদের কাছে কেউ তার নামে অভিযোগ করেনি।’
নগরীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২৫টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ যে ৬৬৬টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে ধারাবাহিকভাবে তা অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে। অভিযানে ওয়াসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও র্যাবের একটি দল অংশ নেয়। বিকাল তিনটার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে ১৪ জুন অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। ওই দিন লালখান বাজারের মতিঝর্ণায় গণপূর্তের পাহাড় থেকে ১২টি ও রেলওয়ের পাহাড় থেকে ছয়টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।