গভীর রাতে ডিপজলের ওপর আক্রমণ!
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৭:০৩,অপরাহ্ন ২০ নভেম্বর ২০১৪
বিনোদন ডেস্ক::
রাত ১২টা। চারদিক শান্ত। নিশ্চুপ, কোনো শব্দ নেই। স্থানটি হলো রাজধানীর হতিরঝিল। রাতেরবেলায় একটু নিরিবিলি বলে হাতিরঝিলের প্রবেশ দ্বারে পুলিশ পাহারা থাকে। কিন্তু হঠাৎ কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো দুটি লোকের ওপর। দূর থেকে হালকা আলোয় দেখা গেল অভিনেতা ডিপজল।
ব্যক্তিগত শত্রুতা নিয়ে কী তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। মনের ভিতর প্রশ্ন জেগে উঠল। কাছে এগিয়ে যেতেই বুঝতে আর বাকি থাকল না।চলচ্চিত্রের শুটিং চলছে।
মজার বিষয় হলো, আক্রমণের সময় আঘাত করার থেকে চিৎকার করার শব্দ বেশি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় কিন্তু রক্ত বের হয় না। শর্ট শেষ হল। তারপর বুঝতে পারলাম এই অস্ত্রগুলো কাঠের তৈরি।
আধুনিক যুগে এসেও আমরা সেই প্রাচীন যুগের অস্ত্র ব্যবহার করছি। আজকাল এটা অনেকটাই হাসির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাই হোক, সব ফাইটারকে একত্রিত করে ফাইট ডিরেক্টর দৃশ্য বুঝাচ্ছেন।
দূরে ডিপজলকে দৃশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন ছবির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। কাছে এগিয়ে যেতেই তিনি বলেন ‘অনেক দামে কেনা’ ছবির শুটিং করছি। ফাইটিং দৃশ্যের জন্য হাতিরঝিল পছন্দ করেছি। রাতের পরিবেশটা এখানে অন্যরকম।’
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও অভিনয়ে ফিরেছেন ডিপজল। ব্যক্তিগত নানা কারণে তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। আগের মতো মোটসোটা নেই তিনি। চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ পড়েছে।
শুটিং নিয়ে ডিপজল বলেন, ‘গল্পটা ভিন্ন, কাজেরও ভালো পরিবেশ আছে, তাই অভিনয় শুরু করলাম। ভালোই লাগছে দীর্ঘদিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে। আমার ভক্তদের আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না। শিগগিরই আমাকে তারা সিনেমার পর্দায় দেখতে পারবেন।’
শুটিং আবারও শুরু। প্রবল বেগে আক্রমণ করলো আবারও সন্ত্রাসীরা, কিন্তু দৃশ্যটি সঠিক হয়নি। শুটিং দেখতে আসা লোকজন দাঁড়িয়ে লাইট নষ্ট করে দিয়েছে। ইউনিটের সবাই একটু বিরক্ত।
লোক সরাতে এবং ডিপজলের নিরাপত্তার জন্য তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এবার শুধু ডিপজল এবং একজন টাকমাথার ভিলেনের ফাইট নেয়ার অংশ নেয়া হবে।
মজার বিষয় হল, অনেক সময় ধরে খেয়াল করে বোঝা গেল, আগ্রহী দর্শকদের তেমন কেউ নায়ক বাপ্পির সাহার প্রতি ইন্টারেস্টেড নন, সবার চোখের মধ্যমণি ডিপজল। সবাই তার কাছে আসার চেষ্টা করছেন, তার ফাইটিং দেখছেন।
এতেই বোঝা যায়, বাংলার মানুষ ভালো অভিনয় কী, তা বুঝতে পারে। আর ডিপজলের জনপ্রিয়তা কতখানি তাও আরেকবার প্রমাণ হলো।