খুলনার বেনাপোল চেকপোস্টে সোনালী ব্যাংকে বহিরাগত দিয়ে রাজস্ব আদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০২:২১,অপরাহ্ন ১৩ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: দেশে বার বার বিভিন্ন ব্যাংক ডাকাতিসহ ভল্ড ভেঙে টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটলে ও টনক নড়ছে না বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। সোনালী ব্যাংকে বেনাপোল চেকপোস্ট শাখায় নিয়োগবহির্ভূত দয়াল হোসেন (৩২) নামে এক বহিরাগত দিয়ে পাসপোটযাত্রীর ট্যাক্স ও সিল মারার কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আন্তর্জাতিক বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করতে সরকারের রাজস্ব বাবদ সোনাল ব্যাংক থেকে ৫০০ শত টাকার ট্যাক্স কাটতে হয়। আর সেই ট্যাক্স কাটার দায়িত্বে চেকপোস্ট শাখায় ব্যাংকের দু’জন স্টাফসহ দয়াল হোসেন নামে একজন বহিরাগত লোক কাজ করে। দয়াল হোসেন প্রতি পাসপোর্টযাত্রীর কাছ থেকে ট্যাক্সের টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত ৩০-৫০ টাকা আদায় করে থাকে। যাত্রীদের এ টাকা কেন দিতে হবে এ রকম প্রশ্নে সে বলে আমাদের চা-মিষ্টি খাওয়ার টাকা। যদি কোনো যাত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করে তার ট্যাক্স হবে না বলে ও তাকে ঘণ্টা পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালি ব্যাংকে যেয়ে দেখা যায়, দয়াল হোসেন পাসপোর্টে সিল মারছে এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে ট্যাক্সের ৫০০ টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।
এ ব্যাপারে দয়াল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সে বলে আমি এখানে অনেকদিন ধরে কাজ করি। আর যে, অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকি এটা ম্যানেজার স্যার জানে।
এ ব্যাপারে ম্যানেজার জিতেন্দু বাবু বলেন, দয়াল হোসেন আমাদের স্টাফ নয়। সে এখানে অনেকদিন ধরে কাজ করে। তবে সে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে কিনা, তা আমি বলতে পারব না। দয়াল হোসেন অতিরিক্ত টাকা আদায় না করলে তাকে কিভাবে এখানে কাজে রাখা হয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা সবাই তাকে কিছু কিছু দিয়ে থাকি।
অন্য একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকের কোনো স্টাফ দয়াল হোসেনকে টাকা দেয় না বরং দয়াল অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ব্যাংকের স্টাফদের দেয়।