কারাগারে যেসব সুবিধা পাচ্ছে জঙ্গি ব্রেনটন
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০২:৪৯,অপরাহ্ন ২৫ মার্চ ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: নিউজিল্যান্ডে কোনো অপরাধীর সর্ব্বোচ্চ শাস্তি আজীবন কারাদণ্ড। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যদি হত্যাকাণ্ডের অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হন এবং দোষি সাব্যস্ত হন, তবে তার সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারাবাস।
সে হিসেবে ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫০ মুসল্লি হত্যাকারি সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারেন্টের সর্ব্বোচ্চ সাজা হলে তার পেছনে সরকারে খরচ হবে মোটা অংকের অর্থ। যার পরিমাণ হতে পারে ২১ কোটি টাকারও বেশি। শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্টকে বর্তমানে কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
কারারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। তার পাহারায় দেয়া হয়েছে শ্বেতাঙ্গ কারারক্ষী। কৃষ্ণাঙ্গ বা অন্যান্য গোষ্ঠীর কারারক্ষী দিলে তাদের ওপর সে আক্রমণ করতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে তাকে সামরিক বিমানে করে কড়া নিরাপত্তাবিশিষ্ট অকল্যান্ডের পারোমোরেমো কারাগারে নেয়া হয়।
ওই কারাগারে বন্দি রয়েছে দেশটির কুখ্যাত সব অপরাধী। সেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রয়েছে সে। ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যা করে ব্রেনটন। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল ফের শুনানির জন্য তাকে আদালতে তোলা হবে। সরকারের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানায়, হামলাকারীকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে কেবল শ্বেতাঙ্গ কারারক্ষীরা। নিউজিল্যান্ডে সাধারণত এমনটা ঘটতে দেখা যায় না। জাতিগোষ্ঠী কিংবা বর্ণ বিবেচনা করে নিউজিল্যান্ডে কারারক্ষী নিয়োগ করা হয় না। নিউজিল্যান্ড প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মিলিত হয়ে তারা টেরেন্টকে নিরাপদভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছেন।
পারেমোরেমো কারাগারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বন্দি রয়েছে ব্রেনটন। ওই কারাগারে ২৬০ জন বন্দি থাকতে পারে। প্রত্যেকের ৩.১ মিটার প্রস্থ ও ২.৯ মিটার উচ্চতার সেলে থাকতে হয়। সেখানে টয়লেট, শাওয়ার ও বেসিন রয়েছে। দেশের সব কুখ্যাত অপরাধীকে রাখা হয় সেখানে। তাকে অন্যান্য অপরাধী থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা প্রত্যক্ষ কিংবা সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি রাখা হচ্ছে তার ওপর। এছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ নেই তার। দেয়া হবে না কোনো পত্রিকা। থাকবে না রেডিও কিংবা টেলিভিশন সুবিধাও।