উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৬:০১,অপরাহ্ন ১৮ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: শেষ হলো পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ। চলছে ভোট গণনা। এর পরেই প্রকাশ করা হবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম।আজ সোমবার পাঁচ বিভাগের ১৬ জেলার ১১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলে।
ভোটের সময় আজ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ভোট বর্জনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলায় রাতে ব্যালটে সিল, জাল ভোট, এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে একাধিক প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
আজ সকাল ১০টার দিকে বাঘাইছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থী বড়ঋষি চাকমাসহ তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। তিন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন সুমিতা চাকমা, সমীরণ চাকমা ও অমর শান্তি চাকমা।
এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নানিয়ারচরে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদের সাত প্রার্থী ভোট বর্জন করে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেছেন।সেইসঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে কাউখালী উপজেলায় নির্বাচন বর্জন করে সরে দাঁড়িয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অর্জুন মনি চাকমা।
এর আগে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে পাঁচ ধাপে ৪৮০ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় ধাপে আজ ১৭টি জেলার ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আদালতের আদেশে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার নির্বাচন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয়টি উপজেলা পরিষদে তিন পদের সব প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং এই ছয়টিতে আর ভোট গ্রহণের প্রয়োজন নেই। সব মিলিয়ে আজ ১১৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১১৬ উপজেলার মোট ভোটার ও প্রার্থী
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার এক কোটি ৭৯ লাখ নয় হাজার ছয়জন। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল সাত হাজার ৩৯টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এক হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩৭৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৫৪৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৪০০ জন।
৪৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
৪৮ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ২৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১২ জন। এর আগে যে ছয়টি উপজেলার সব পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো হলো চট্টগ্রামের রাউজান, মিরসরাই, নোয়াখালীর হাতিয়া, ফরিদপুর সদর, পাবনা সদর ও নওগাঁ সদর।
যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়
রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলা; রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলা; দিনাজপুর জেলার কাহারোল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বিরল, পার্বতীপুর, খানসামা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সদর, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, কাহালু, গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলা; নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর, আত্রাই, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পোরশা, ধামইরহাট, বদলগাছী, রানীনগর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও মান্দা উপজেলা; পাবনা জেলার পাবনা সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলা।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা; মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, সদরপুর, সালথা, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা; রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, বরকল, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলা; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, থানচি, লামা, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায়।