অনুমোদন পেল ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০২:০৯,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
অনলাইন ডেস্ক:: সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা হবে অনলাইন। খাবারের ব্যবস্থা থেকে ঘর পরিষ্কার করা পর্যন্ত সব কাজের ব্যবস্থাপনা ও তদারকি হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে। সব পাবলিক প্লেসে বিরাজ করবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ চলবে সব পাবলিক স্থানে।
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য যতটা সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। তালার বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা চোখের মনি মেলানোতেই একসেস থাকবে। ওখানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ইতিহাস নিয়ে একটি জাদুঘর গড়ে তোলার ইচ্ছাও ছিল। বস্তুত এটি হবে ডিজিটাল শিক্ষার শ্রেষ্ঠতম কেন্দ্র। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের সেরা গবেষণার কাজগুলো এখানেই হবে। সূত্রমতে, কোরিয়া সরকারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ সুদে প্রাপ্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা।
তথ্যপ্রযুক্তি বিদ মোস্তাফা জব্বার কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্লাশরুম, হলরুম, বসার ঘর, খাবার ঘর, ছাত্রাবাস, শিক্ষক কোয়ার্টার, লবিতে থাকবে বড় পর্দার মনিটর/টিভি। তাতে থাকবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। এর পাশাপাশি থাকবে ইন্টারনেট কিয়স্ক। সব ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকার থাকবে বহনযোগ্য ডিজিটাল যন্ত্র। সব পাঠ্য বিষয় হবে ডিজিটাল।
সকল বিষয়কে ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যারে রূপান্তর করে সেটি পাঠদানের পদ্ধতি হিসেবে প্রয়োগ করা হবে। কাগজের বইকে ডিজিটাল সফটওয়্যারে রূপান্তর করে সেই বইসমূহ রেফারেন্স হিসেবে পাঠ্য করা হবে। প্রত্যেকের ইন্টারনেটের গতি হবে কমপক্ষে ১ এমবিপিএস।
প্রসঙ্গত, খসড়া আইন অনুযায়ী কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক সংলগ্ন গাজীপুরের চন্দ্রার মোড়ে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের জায়গাতেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।