৯২ রোহিঙ্গার জীবন বাঁচালো ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২২:৪১,অপরাহ্ন ১৫ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ থেকে ফের ৮শ’র কাছাকাছি অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার কর হয়েছে। ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্স।
আচেহ প্রদেশের পূর্ব উপকূলীয় লাংসা শহরের পুলিশ প্রধান সুনারিয়া এএফপিকে জানান, প্রাথমিক খবরে তারা জেনেছেন নৌকাটির গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। কিন্তু মালয়েশিয়ার নৌবাহিনী ধাওয়া করে নৌকাটিকে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ঠেলে দেয়।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ জলসীমায় নৌকাটি পৌঁছার পর একপর্যায়ে তা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। এসময় স্থানীয় জেলেরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে শহরের একটি ওয়্যারহাউজে নিয়ে যায়। সুনারিয়ায় জানান, জেলেরা তাদের ৬টি নৌকায় করে অভিবাসীদের লাংসা শহরে নিয়ে আসে।
সামসুল বাহরি নামে লাংসা শহরের এক ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রাথমিক হিসেবে তারা জানতে পেরেছেন সেখানে ৭১২ অভিবাসী রয়েছে। তবে রয়টার্সের খবরে অভিবাসীদের সংখ্যা ৭৯২ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাহরি বলেন, ‘আমরা তাদের উপকূল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি।’ মালয়েশীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেশটির টহল জাহাজ বুধবার অভিবাসী বোঝাই দুটি নৌকাকে ধাওয়া করে। নৌকা দুটির গন্তব্য ছিল উত্তরাঞ্চলীয় পেনাং ও লাংকাভি দ্বীপ।’
তারা ধারণা করছেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আরেকটি নৌকা ইন্দোনেশিয়ার পথে রয়েছে। থাই রাজকীয় নৌবাহিনী নৌকাটিকে তাদের জলসীমা ঢুকতে বাধা দিলে পরে সেটি ইন্দোনেশিয়ার দিকে যাত্রা করে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় এক বির্তকের মধ্যে পড়েছে সরকার। তবে শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহিষ্কার করবে না সরকার।
তবে ত্রামাদিয়া সেলিম নামে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শুক্রবার এক বিবৃতিতে এও বলেছেন, ‘বসবাস অনুপোযোগী কোনো দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই।’ বৃহস্পতিবার দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাসযোগ্য নয় এমন এলাকায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে না।
তিনি বলেন, সরকার ইন্দোনেশিয়া সরকার শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫৮২ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরমানাথা নাসির বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে সাক্ষর না করলেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেবে না।’ এদিকে গত রোববার ও সোমবার দেড় হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশীয় পুলিশ।