‘৫ শতাংশ নাকি ৯৫ শতাংশ, কার পক্ষে থাকবে সেনাবাহিনী’
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৫:১৬,অপরাহ্ন ১৭ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ‘অবৈধ’ সরকারের নির্দেশ না মানতে আহবান জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট। এক বিবৃতে সেনাবাহিনী ও সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোটটি প্রশ্ন রেখেছে, তারা কি ৫ শতাংশ ভোটের অবৈধ সরকারের নির্দেশ শুনবে, না কি ৯৫ শতাংশ মানুষের পক্ষে থাকবে? এদেশের অত্যাচারীরা কোনোদিনই টিকতে পারেনি। শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলা হয়, তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধবাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন, কারণ এদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্রমাগতভাবে মানুষের অধিকারগুলো সংকুচিত করেছে। বিশেষভাবে গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিশেষ একটি জায়গা আছে সেটিকে তারা কখনই বিশ্বাস করেনি। গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের সকল কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে তারা দমননীতি অবলম্বন করেছে। তাদের দমননীতি অমানবিক, মধ্যযুগীয় এবং নাজি ফ্যাসিষ্টদের সমতুল্য। শুধুমাত্র কথা বলা, সভা, সমাবেশের অধিকারগুলোই তারা হরণ করেনি বরং নাজিদের কায়দায় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধ, কারারুদ্ধ, মিথ্যা মামলাতেই জড়ানো হয়নি, অনেককে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাজের নানাস্তরের মানুষসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের নির্মম শিকার হতে হয়েছে। ফলে এই পৈশাচিক দুঃশাসনকে মোকাবেলা করার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠন হওয়ার পর থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের হারানো অধিকার পুনর্রুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরো বেশি নির্দয় ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
মানুষের ভোটাধিকার পুনর্রুদ্ধার, বাক, ব্যক্তি ও সমাবেশের অধিকার আদায়, সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা থেকে দেশের মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা দূরীভুত করতে গণমানুষের অবরোধ কর্মসূচির ওপর সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কাপুরোষোচিত বর্বর হামলার নিদর্শনগুলো দেখলে মনে হয় সরকার মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
বিজিবির ডিজি ও আইজিপির বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হকের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে জোটটি। বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে। এ বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইজিপির গতকালের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, আইজিপি বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয়, একজন ছাত্রলীগের নেতা পুলিশের পোশাক পরে বক্তব্য রাখছেন। পুলিশের আইজির বক্তব্য নজীরবিহীন ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের মনে রাখা উচিত, কোনো অপকর্মই কখনো চিরদিনের জন্য মাটিচাপা থাকে না। জনগণ সব ঔদ্ধত্য, অহংকার ও নিষ্ঠুর অনাচারের বিচার করবেই।