৩৬৮ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে, ৬৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:২৭:২৭,অপরাহ্ন ০৬ নভেম্বর ২০১৪
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েছিলেন, খুলনা টেস্ট জিততে হলে বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনেই জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট তুলে নিতে হবে। কথামত কাজও করলেন সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দেন রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের পঞ্চম ওভারেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত করেন সাকিব। ওভারের প্রথম বলে সাকিবের বলে সরাসরি বোল্ড হন হ্যামিলটন মাসাকাদজা। আগে দিন ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের স্বাদ পাওয়া মাসাকাদজা ১৫৮ রানে সাজঘরে ফিরেন। ৩২৬ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১৫৮ রান করেন। ক্যারিয়ারের এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
একই ওভারের শেষ বলে আরেকটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ পান সাকিব। কিন্তু মাসাকাদাজার পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে আসা ওয়ালার পঞ্চম বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন। সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন পেসার শাহাদাত হোসেন।
তবে ওয়ালারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি সাকিব। ব্যাক্তিগত ৬ রানে সাকিবের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন ওয়ালার। ম্যাচে এটি সাকিবের পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ১৩ বার পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। এবং জিম্বুাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়।
সাকিবের পর সকালে দ্যুতি ছড়ান পেসার রুবেল হোসেন। আগের দিন ভালো বোলিং করেও উইকেট না পাওয়ার আক্ষেপে রুবেল ১২৪তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন চাতারা (০)।পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাতসাই এমশ্যাংউই (০)।
উইকেটের একপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল লেগে থাকলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল থাকেন চাকাবা। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন তিনি। শতকের পর ইনিংসটি আর বড় করতে পারেনি চাকাবা। ঢাকা টেস্টের নায়ক তাইজুলের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হন চাকাবা। ২৩২ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০১ রান আসে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে।
শেষ পর্যন্ত ৩৬৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৬৫ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশ ৪৩৩ রান করে। শতক হাঁকান তামিম ইকবাল (১০৯) ও সাকিব আল হাসান (১৩৭)। ৫৬ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।