২৪ ঘণ্টা গাছে অবস্থান শেষে নেমেই জালাল আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২১:৩২,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
পেট্রোলবোমা, ক্রসফায়ার, হরতাল, অবরোধ চিরতরে বন্ধের দাবিতে হাতে-পায়ে শিকল লাগিয়ে গাছে উঠে এক ব্যতিক্রমী কায়দায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন শেষে গাছ থেকে নামতেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মজুমদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জালাল গাছ থেকে নেমে এলে কয়েকজন তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর দুই নেত্রীকে আলোচনার টেবিলে বসানোসহ কিছু দাবি সংবলিত একটি ব্যানার প্রেসক্লাবের সামনে টাঙিয়ে জালাল আবার গাছে উঠতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে গাড়িতে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি গাছের উপর এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচি চলে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। জালালের উদ্দেশ্য কী, সে আসলে কি চায় এসব জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগের ওসি সিরাজুল ইসলাম।
গাছের উপর বসে থেকেই লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এসময় হ্যান্ডমাইকে তিনি বলেন, ‘পেট্রোলবোমার আগুনে পোড়া মানুষের চিৎকারে, হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীদের চিৎকারে, ক্রসফায়ারে মৃত মানুষদের চিৎকারে এই ৫৬ বছর বয়সেও গাছের উপরে উঠে দাবি জানাতে বাধ্য হলাম। কারণ মাটিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে উপরের লোকেরা শুনতে পায় না। তাই গাছের উপর উঠেই প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হলাম।’
জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘১৯৭১ সালে একজন বঙ্গবন্ধু মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন এবং আমরা সাত কোটি মানুষ তা শুনেছিলাম। এখন স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও ১৬ কোটি মানুষ আত্মচিৎকার করে বলছে, আগুনে পুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে অার ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের এই অাত্নচিৎকার খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা কেউ শুনছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংলাপে বসার দাবি জানানোর কারণে বঙ্গবীরের মতো নেতার কাঁথা-বালিশ নিয়ে গেছে। সেই ভয়ে আমি কাঁথা-বালিশ আনিনি সোজা উঠে পড়েছি গাছে।’
জালাল উদ্দিন মজুমদার ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের নবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি নিজেকে দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দেন। অার পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক ও ঠিকাদার।