২০১৬-এর মধ্যে নৌবহরে সাবমেরিন সংযুক্ত হবে’
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৭:১০,অপরাহ্ন ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: ‘২০১৬-এর মধ্যে নৌবহরে সাবমেরিন সংযুক্ত হবে’ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৬ সালের মধ্যে নৌবহরে সাবমেরিন সংযুক্ত হবে। এছাড়া সশ্রস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর জন্য ৪র্থ প্রজন্মের ট্যাংক এমবিটি-২০০০, এসপি গান, আধুনিক র্যাডার, এপিসি ক্রয় করা হয়েছে। আর্মি এভিয়েশনে আধুনিক হেলিকপ্টারও যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এরই হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও এএফডব্লিউ কোর্স ২০১৪-এর গ্র্যাজুয়েশন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে ৩ বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ফ্যাকাল্টিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা একটি বহুমাত্রিক বিশ্বে বসবাস করছি। যেখানে সর্বদা পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পরস্পরের সংযোগকে বৃদ্ধি করছে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ দেখাচ্ছে, আবার মাঝে মাঝে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে। এই পরিবেশে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারকেও উৎসাহিত করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কর্মকর্তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য এনডিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটি আমাদের গর্বের জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। একটি পেশাদারী ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, সফলতার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কিছু কিছু চ্যালেঞ্জও আমাদের সামনে উপস্থিত হচ্ছে। এসব চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমেই ব্যক্তি এবং দলগত উৎকর্ষ অর্জন সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্ববোধ করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে খুবই প্রাথমিক স্তরের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অসম সাহস ও অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ-সুযোগ তৈরিতে আমরা সমর্থ হয়েছি। দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক ও অন্যান্য দুর্যোগ এবং বিপর্যয়ের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা ও কঠোর শ্রম দিয়ে মানুষকে সাহায্য করে আসছেন। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণেও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশে ও বিদেশে অত্যন্ত দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। জনগণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই অংশীদারিত্ব সময়ের পরিক্রমায় আরও শক্তি সঞ্চয় করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।