১৭তম কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৪’’ ২২-২৩ ডিসম্বের
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৯:৪৬,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক :: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আগামী ডিসেম্বর ২২-২৩, ২০১৪ তারিখে রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিশাল সবুজ চত্বরে ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স্ ইঞ্জিনিয়ারস (IEEE) এর কারিগরি সহ-পৃষ্ঠপোকতায় ‘‘১৭তম কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৪’’ (ICCIT-2014) আয়োজন করতে যাচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও রবি এক্সিয়টা লিমিটেডের ‘রবি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের ‘‘কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৪ আয়োজিত হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর স্টার্ট আপ রেস্টুরেন্টে ‘‘১৭তম কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৪’’ (ICCIT-2014) উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনের চীফ পেট্রন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের সভাপতিতেব ‘মিট দ্যা প্রেস’ এ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রবি এক্সিয়টা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুপুন বীরারাসিংহে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এম লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এম গোলাম রহমান, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ডঃ এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার ও সম্মেলনের চেয়ার পারসন ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডঃ সৈয়দ আকতার হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানাননো হয় ‘‘১৭তম কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৪’’ এর প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়‘‘ ICCIT For Innovation”. বিশ্বের বেশ কিছু নামী-দামী বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর ICCIT-2014 এর গর্বিত অংশীদার হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এরমধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভূক্ত দেশ সমূহের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের এমিটি ইউনিভার্সিটি ও কলিঙ্গ ইন্সটিটিউট অব ইন্ডাষ্ট্রিয়াল টেকনোলজি (KIIT) উল্লেখযোগ্য। একাডেমিক পার্টনারের পাশাপাশি ইন্ডাষ্ট্রি পার্টনার হিসাবে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (BCS), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(BASIS), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ওমেন ইন আইটি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমীর মধ্যে সমন্বয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ইতিমধ্যে ICCIT-2014 এর সাথে যুক্ত হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য ওয়েব সাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। ওয়েব সাইট : http://iccit.org.bd/2014 ফেইজবুক পেইজের মাধ্যমেও বিস্তারিত জানা যাবে। ফেইজবুক পেইজ http://www.facebook.com/iccit2014.
সম্মেলন ব্যবস্থাপনা সিষ্টেমের মাধ্যমে এবছর ICCIT-2014 এ ২৮ টি দেশ থেকে মোট ৩৬৭ টি মৌলিক গবেষণা পত্র জমা পড়েছে। এবারের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক গবেষণা পত্র জমা পড়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, বাংলাদেশ, ফিজি, চীন, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকার প্রায় শতাধিক নিরীক্ষক এসকল গবেষণাপত্র পুননিরীক্ষণ করেন। ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মাসাচ্যুসেট ডার্টমাউথ এর প্রভোস্ট এবং নির্বাহী উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আতাউল করিম এবং কো-চেয়ারম্যান হিসাবে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আলাবামার প্রফেসর মোহাম্মদ এস আলম নিরীক্ষণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন। গবেষণাপত্রসমূহ সফলভাবে পুননিরীক্ষণ কার্য সম্পাদনের পর ৩৬৭ টি গবেষণাপত্রের মধ্যে ১০০ টি গবেষণাপত্র সম্মেলনে মৌখিক উপস্থাপনার জন্য গৃহীত হয় যার গ্রহণের হার হচ্ছে ২৭% যা এ অঞ্চলের জন্য সর্বনিম্ন গৃহীত হার হিসেবে বিবেচিত। এবারের সম্মেলনে গৃহীত ১০০ টি গবেষণাপত্র মোট ৯ টি দেশ থেকে জমা পড়ে যার ৮৪% – ই বাংলাদেশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
সম্মেলনে চারটি মূল প্রবন্ধ ও ৫টি উপস্থাপিত হবে। মূল প্রবন্ধসমূহ উপস্থাপন করবেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ টার্ক, যুক্তরাজ্যের বর্নমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হোয়াংনিয়ান ইউ,আমেরিকার ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক এম সোভ ও আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ফ্লোরিডার প্রফেসর মোহাম্মদ এইচ রশিদ। সম্মেলনে কারিগরি কৌশলপত্র নিয়ে আলোচনা করবেন ভারতের এমিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর বালভিন্দর শুকলা ও প্রফেসর সুনীল কুমার ক্ষাত্রী, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগ্যারির ডঃ আনিসুল হক, জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির ডঃ ইকুশিয়া মিটস্গামী এবং আমেরিকার উইনানো স্টেট ইউনিভার্সিটির ডঃ এমদাদ আহমেদ।
আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ন সম্মেলনে গেইম ক্যাম্প, কম্পিটিটিভ লার্নিং সেশান, মোবাইল এপস্ ফোরাম এবং বিভিন্ন কর্মশালার সমন্বয়ে বিশাল প্রযুক্তিবিষয়ক অনুষ্ঠানমালার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী ও প্ল্যানারি সেশানের অব্যাবহিত পরেই ইন্ডাষ্ট্রি, একাডেমী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক কর্তাব্যক্তিদের অংশগ্রহণে ‘‘ বাংলাদেশে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ভবিষ্যতঃ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’’ শীর্ষক একটি একাডেমী- ইন্ডাষ্ট্রি গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের ICCIT-2014 এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রথমবারের মত CSE/SWE/MTCA ডিপার্টমেনেটর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘‘শিক্ষার্থী সম্মেলন’’ এর সূচনা করেছে যাতে শিক্ষার্থীরা ফেকাল্টি মেম্বারদের সহায়তায় ও তত্ত্বাবধানে গবেষণাপত্র লেখার কৌশল সম্পর্কে শিক্ষা লাভ এবং জ্ঞানার্জন করতে পারে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৪০ টি গবেষণাপত্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জমা পরেছে। যা সম্মেলন পর্বে শিক্ষার্থীদের দ্বারা উপস্থাপতি হবে।এবারের ICCIT-2014 সম্মেলনে ডঃ ফাতেমা রশিদ এর নামে বেস্ট পেপার এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। IEEE বাংলাদেশ শাখাও সম্মেলনে বেস্ট পেপার এওয়ার্ড প্রদান করবে। এছাড়া সম্মেলনে মৌখিক উপস্থাপনার উপর ভিত্তি করে আরো একটি বেস্ট পেপার এওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
২২শে ডিসেম্বর ২০১৪ প্রফেসর ম্যাথিও টার্ক মোবাইল ভিশন পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এর উপর একটি বৈজ্ঞানিক কর্মশালা পরিচালনা করবেন। ২৩শে ডিসেম্বর ২০১৪ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগিরির ডঃ আনিস হক K12 বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল শিক্ষার উপর আরেকটি কারিগরি কর্মশালা পরিচালনা করবেন। সম্মেলনস্থলে ইন্টর্যাক্টিভ পার্টিসিপেশন এর জন্য ইন্ডাষ্ট্রির পক্ষ থেকে রবি এক্সিয়টা লিমিটেড একটি অভিজ্ঞতা কেন্দ্র স্থাপন করবে। এর পাশাপাশি রবি এমার্জিং প্ল্যাটফরম হিসাবে তরুন ও মেধাবী যুবকদের চিন্তা, মেধা ও মননকে পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল এপস্ ডেভেলাপমেনেটর দিকে আকৃষ্ট করতে একটি টেকনিক্যাল সেশান পরিচালনা করবে।
যোগাযোগ : মোঃ আনোয়ার হাবিব কাজল, সহকারি পরিচালক ( জনসংযোগ), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ।