হ্যাপিকে দেখে আর কেউ পতিতালয়ে যাবে না : তসলিমা নাসরিন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৬:০৮,অপরাহ্ন ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪
বিনোদন ডেস্ক::
রুবেল-হ্যাপি সম্পর্কের গোপন রসায়ন নিয়ে ফের মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আলোচনায় হট- কেক হ্যাপি-রুবেল৷ বিভিন্ন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলে প্রতিনিয়ত সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন হ্যাপি। যেটা এড়িয়ে যায়নি তসলিমার চোখ-কান। তিনিও হ্যাপির বক্তব্য দেখেছেন কিংবা শুনেছেন।
তসলিমা বলছেন, ‘হ্যাপির ইন্টারভিউ শুনলাম। খুব হৃদয়স্পর্শী, খুব বিশ্বাসযোগ্য। আবেগ নয় শুধু, যুক্তিও প্রচুর। হ্যাপিকে দেখে যেন অন্য মেয়েরা শেখে, মুখ-বুজে-না-থাকা শেখে। অন্যায় আর প্রতারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শেখে, যেন একা একা ঘরের কোণে বসে আর না কাঁদে, যেন নিজেকে ক্ষুদ্র তৃণসম না ভাবে, যেন অসহায় অবলা না ভাবে, যেন ঘৃণ্য নিকৃষ্ট কিছু না ভাবে, যেন আত্মহত্যা করার দুঃস্বপ্ন না দেখে, যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, নিজেকে সম্মান আর কেউ না দিলেও যেন নিজে দিতে শেখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ হ্যাপিকে লোকে দোষ দেবে। কারণ প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ও মুখ খুলেছে, চুপ করে থাকার, নীরবে অনাচার সওয়ার পুরুষতান্ত্রিক নিয়মগুলো মানেনি। কিন্তু আরও অনেক মেয়ে যখন মুখ খুলবে, আরও হাজারো মেয়ে, আরও লক্ষ মেয়ে- তখন কাকে রেখে কাকে ছি ছি করবে লোকে! বরং, তটস্থ হবে নিজেদের আবর্জনা আবার কেউ দেখে ফেলে কিনা তা নিয়ে।’
রুবেলের মুখোশ খুলে দেওয়ার পর পরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তসলিমা নাসরিন৷ লেখিকা সেদিন বলেছিলেন, ‘হ্যাপি লড়াই চালিয়ে যাক, কিন্তু ভুল করেও যেন রুবলকে বিয়ে না করে৷’ এবরা তিনি বললেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না আমরা সেই সমাজে বাস করি, যে সমাজ পুরুষদের ভোগের জন্য বেশ্যাখানা খুলেছে, যে বেশ্যাখানায় অধিকাংশ মেয়েরাই আসে প্রেমিক দ্বারা প্রতারিত হয়ে, যে বেশ্যালয়ে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিক্রি করে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতারক শুধু নিচুতলায় নয়, প্রতারক সব তলাতেই আছে। জাতীয় ক্রিকেট টিমেও আছে। হ্যাপির ব্যক্তিত্ব, দৃঢ়তা এবং সাহস আমাকে মুগ্ধ করেছে। ওকে অজস্র অভিনন্দন। আগামিদিনে ওকে দেখে শিখতে পারে অন্য প্রতারিতরাও৷