হোটেল অনুরাগের এমডি হত্যা মামলার রায় : একজনের ফাঁসি, দুইজনকে যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৬:৫৫,অপরাহ্ন ১২ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগরীর হোটেল অনুরাগের এমডি আতিকুর রহমান হত্যা মামলায় বন্ধু শফিকের ফাঁসির রায় ঘোষনা করেছে আদালত। একই মামলায় আরো দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে । সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা বুধবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত শফিকুর রহমান শফিক (৩২) ঢাকার হাজারীবাগে। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- ঢাকার ললিত মোহন দাস লেনের সুমন প্রকাশ মামা সুমন (৩০) ও একই এলাকার খোকন (৩০)। একইসাথে এই তিনজনকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ের হোটেল অনুরাগের এমডি আতিকুর রহমানকে হোটেল কক্ষের ভেতর বেলা তিনটার দিকে শফিক, সুমন, খোকন হত্যা করে। এ ঘটনায় আতিকের বাবা হোটেলের চেয়ারম্যান মো. খুরশেদ আলী পরদিন সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১১ সালের ১৮ জুন ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
শামসুল ইসলাম আরো জানান- দীর্ঘদিন মামলাটি জেলা দায়রা জজ আদালতে চলার পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি হস্তান্তর হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফুর আলী জানান- আদালতে ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শফিককে ফাঁসি আর খোকন ও সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তবে শফিক ও খোকন পলাতক রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি মফুর আলী,এডিশনাল পিপি শামসুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল মওদুদ কয়সর, মাহফুজুর রহমান, মশরুর চৌধুরী শওকত, ড. ফৌজিয়া সুলতানা। আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন জোসনা ইসলাম।
মামলার বাদি খুরশেদ আলী, নিহত আতিকের স্ত্রী তামান্না ইসলাম, মা রেজিয়া বেগম ও চাচা শ্বশুর বদরুল ইসলাম মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।