হিমালয়ে স্হাপিত হলো সজল স্মৃতিফলক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৪:১৪,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
ঢাকা: হিমালয়ের দুগলা-গিরিপথে স্কট ফিশারের মতো প্রখ্যাত পবর্তারোহীর স্মৃতিফলকের পাশে সজল খালেদের ফলক স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের পবর্তারোহীরা। এছাড়া দুর্গম পর্বত কেয়াজো-রি শিখরের বিশ হাজার ফুট উচ্চাতায়ও আরোহন করেছেন পবর্তারোহীরা। গতকাল প্রেসক্লাবে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব আয়োজিত এক সস্নাইড প্রদশর্নী ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যামিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, অভিযানের স্পন্সর এমকে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনতাসীর করীম, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার জেসমিন জামান, ডাটাসফ্ট সিসটেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান এবং সুপার স্টার গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার আফতাব মাহমুদ খুরশিদ উপস্থিত ছিলেন। অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হকের পরিচালনায় সস্নাইড প্রদর্শন করেন অভিযানের দলনেতা এমএ মুহিত। এছাড়াও অভিযানের অন্য সদস্য নিশাত মজুমদার, মহিউদ্দিন, সাদিয়া সুলতানা, কাজি বাহলুল মজনু ও শামীম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এভারেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে ২০,২৯৫ ফুট উঁচু কেয়াজো-রি শিখরটি সলু-খুম্বু অঞ্চলের অন্যতম দুর্গম পর্বত। বাংলাদেশের পর্বতারোহী দলটি ১১ অক্টোবর ২০১৪ নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। ১৩ অক্টোবর হিমালয়ের ৯,৩১৭ ফুট উঁচু লুকলা বিমানবন্দর থেকে ট্রেকিং শুরু করে প্রায় ৫০ কিমি হেঁটে ১৬ অক্টোবর বেস-ক্যাম্পে (১৫,৪২০ ফুট) পৌঁছায়। ১৮ অক্টোবর অভিযাত্রী দল ১৭,০৬০ ফুট উচ্চতায় হাই-ক্যাম্প স্থাপন করে এবং ১৯ অক্টোবর রাত ৩টায় হাই-ক্যাম্প থেকে চূড়ান্ত-আরোহণ শুরু করে দুপুর ১:৩০টায় ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছায়। তারপর বিরূপ আবহাওয়ার জন্য দলটি সেখান থেকে হাই-ক্যাম্পে ফিরে যায়। প্রত্যাবর্তনের পথে অভিযাত্রী দল ২৪ অক্টোবর দুগলা-গিরিপথে (১৫,৭০০ ফুট) সজল খালেদ স্মৃতিফলক স্থাপন করে। দুগলা-গিরিপথে বাবু চিরি শেরপা, পাসাং লামু শেরপা, স্কট ফিশার ও অন্যান্য প্রখ্যাত পর্বতারোহীর স্মৃতিফলকের পাশে সজল খালেদের ফলক স্থাপন করা হয়েছে।
আনিসুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন বাধা স্বত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে বিশ্বে পরিচয় করাতে তরুণরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তবে তরুণদের পজিটিভ বিষয়গুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
খুশী কবির বলেন, আমি অবাক হই এটা ভেবে যে, এরা একটি গ্রুপে এতো বড় বড় জয় ছিনিয়ে আনছে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে। এটা জাতির জন্য গৌরবের।
প্রসঙ্গত, সজল খালেদ ২০ মে ২০১৩ তারিখে এভারেস্ট বিজয়ের পর ফেরার পথে হিমালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।