হাসিনার সরকার পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট স্বৈরাচারী সরকার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৭:৪৫,অপরাহ্ন ২৭ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
হাসিনা সরকার পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট স্বৈরাচারী সরকার বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার পৃথিবীর নিষ্টুর স্বৈরাচারী সরকার। আওয়ামী লীগ জাতীয় বেঈমান।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নব্বইর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যর আয়োজনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা যদি জনপ্রিয় হন তাহলে সুষ্ঠ নির্বাচন দিন। তাহলে দেখা যাবে আপনারা কত জনপ্রিয়। আপনাদের জামানত থাকবে না। এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন আমি ব্যক্তি গত ভাবে বলতে পারি ভোট না পেলে রাজনীতির চিন্তাও করবো না। আওয়ামী লীগ ছলে বলে কৌশলে জনগনের ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
আওয়ামী লীগকে জাতীয় বেঈমান আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতিহারে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও বারবার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত দিয়ে তারা জাতীয় বেঈমানে পরিণত হয়েছে।
তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হলেও বারবার দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হেনেছে। তারা ৮৬ সালে ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছিল এরপর ১৯৮৬ সালে এরশাদের অধীনে পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বৈরাচারী শাসনকে প্রলম্বিত করেছিল। একইভাবে ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তথাকথিত অবৈধ সরকার দেশের সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাকে দির্ঘায়িত করতে চায়। এরা প্রশাসন থেকে শুরু করে বিচার বিভাগসহ সব কিছুতেই দলীয়করণ করতে চায়। যার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলন থেকে দূরে রাখার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে আটক করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন রুখা যাবে না।
ডা. মিলনের আত্মত্যাগ ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার মনে করেছিল মিলনের মত কয়েকজনকে হত্যা করে ক্ষমতাকে দীর্ঘ স্থায়ী করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল ঠিক তার উল্টো। মিলনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে গোটা দেশে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছিল। যার মাধ্যমে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন তরান্বিত হয়েছিল।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় এসেছে তোমরা যারা নবীন দেশের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে নিজেদের শামিল করার। খালেদা জিয়ার আহ্বানে গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্টার আন্দোলনে সবাইকে শরীক হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।