হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ফের ৪ ফেব্রুয়ারি
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৭:৫৫,অপরাহ্ন ২৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানির দিন ধার্য করতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ফের একইভাবে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে। বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
রুলের শুনানি শুরু করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে বুধবার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, দুদকের মামলার বিষয়ে শুনানির জন্য এটিই হাইকোর্টের একমাত্র বেঞ্চ। আমরা বেঞ্চ বাড়াতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছি। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রুলের শুনানি শুরু হলে জনমনে আদালত সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। এসব কারণে শুনানির দিন ধার্য করার জন্য সময়ে প্রয়োজন। দুই সপ্তাহ পর ফের কার্যতালিকায় রেখে শুনানির দিন ধার্য করার আবেদন জানান।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তাকে সোমবার এ মামলার জন্য দুদকের পক্ষে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এ মামলার আইনজীবী ছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। খুরশীদ আলম খান দুই সপ্তাহ সময় দিয়েই শুনানি শুরুর দিন ধার্য করে দেওয়ার আবেদন জানান।
পরে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে শুনানির দিন ধার্য করতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ফের একইভাবে কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে মঙ্গলবার রুলের শুনানি দিন ধার্যের জন্য এ বেঞ্চে আবেদন করে দুদক।
এর মাধ্যমে প্রায় সাত বছর পর মামলাটি সচলের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। ২০০৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী মতিঝিল থানায় খালেদা জিয়া ও তার কনিষ্ঠ পুত্র সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় চট্টগ্রাম ও কমলাপুরের কন্টেইনার টার্মিনালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য মেসার্স গ্লোবাল এগ্রোটেড লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্র দায়েরের পর মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটি কেন বেআইনি ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম দুইমাসের জন্য স্থগিত করেন। সময়ে সময়ে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার ওই রুলের ওপর শুনানির জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।