হলমার্ককে ২১ দিনের মধ্যে ৪৮৬ কোটি টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫০:২০,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ফেঁসে গেছে আলোচিত হলমার্ক গ্রুপ। অর্থদন্ড ও শুল্ক করবাবদ টাকা মিলে সর্বমোট ৪৮৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আগামী ২১ দিনের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপকে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার ড. মো. সহিদুল ইসলাম এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছেন।
জানা গেছে, শুল্ক সুবিধায় আমদানি করা সুতা ও কাপড় খোলাবাজারে বিক্রি করায় গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হলমার্ক ডিজাইন ওয়্যার লিমিটেডকে ৩৭০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও জরিমানার পাশাপাশি শুল্ক ও করাদি বাবদ ১’শ ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকাও শিল্প প্রতিষ্ঠানটিকে এখন পরিশোধ করতে হবে।
সূত্র মতে, মেসার্স হলমার্ক ডিজাইন ওয়্যার লিমিটেড(নন্দখালী, তেতুলঝাড়া, হেমায়েতপুর)এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর সেকশন ১৫৬(১)টেবিলের দফা ১, ১২, ও ৯০ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ অর্থদন্ড করা হয়েছে।
একইভাবে একই আইনের সেকশন ৩ এর ক্ষমতাবলে ২০১১ সালের ৭ মার্চ থেকে ২০১৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৪৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানিকৃত কাঁচামাল দ্বারা উৎপাদিত পন্য রপ্তানী না করায় শুল্ক ও করাদি বাবদ আরেকটি জরিমানা করা হয়েছে।
সর্বমোট ৪৮৬ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আগামী ২১ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ট্রেজারি চালানের মূল কপি কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, ৩৪২/১, সেগুনবাগিচা, ঢাকার দপ্তরে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ৩৪৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে পোশাক তৈরি করে রফতানি করার কথা থাকলেও তারা তা করেনি। বরং তারা খোলাবাজারে কাঁচামাল বিক্রি করেছে। ওই পণ্য বিক্রি করার দায়ে তাদের কাছে ১১৬ কোটি টাকার শুল্ক চেয়ে দাবিনামা পাঠানো হয়।
এ পর্যায়ে তারা ওই কাঁচামালে তৈরির পণ্য রফতানি করা হয়েছে বলে দাবি করলে তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র চায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। তারা তা দিতে ব্যর্থ হয়। এ দাবিনামা নিষ্পত্তির জন্য হলমার্ক গ্রুপের প্রতিনিধিদের শুনানিও নেওয়া হয়। এতেও তারা শক্ত জবাব দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা লোপাটের ঘটনায় হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদসহ ৬ জন বর্তমানে জেলে আছেন। আত্মসাৎকৃত ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার মধ্যে একশ’ কোটি টাকা পরিশোধ করার শর্তে গত বছরের ৫ আগস্ট আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান জেসমিন ইসলাম।