হরতাল-অবরোধে ক্ষতি ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৭:৫২,অপরাহ্ন ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় আরোহনের চেষ্টা কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ হতে পারে না। শুধু নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থেই বিএনপি নেত্রী হরতাল দিচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াত পরস্পরের দোসর। তাদের নাশকতার একটাই উদ্দেশ্য, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং দুর্নীতির মামলায় সাজা থেকে খালেদা জিয়াকে রক্ষা করা। বিএনপি-জামায়াতের হরতালের নামে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও অন্যান্যভাবে দেশের ১ লাখ ২০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।আজ বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনসম্পৃক্ততাবিহীন এই কার্যক্রমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই নাশকতা চালানো হচ্ছে। ১০১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সকল কার্যক্রম দেশের প্রচলিত আইনে মৃত্যুদন্ড পাওয়ার উপযোগী অপরাধ।
টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫ই জানুয়ারি হতে টানা ৫২ দিন ধরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট হরতাল অবরোধের নামে দেশে এক চরম নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতার লিপ্সায় অন্ধ হয়ে তারা দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ, দেশের নিরপরাধ সাধারণ নারী পুরুষ এমনকি নিষ্পাপ শিশুদেরকেও আগুণে পুড়িয়ে হত্যা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম প্রক্রিয়া হলো আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা। আর সেই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা আরোহনের চেষ্টা কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ হতে পারে না। পেটের তাগিদে কাজ করতে বেরিয়ে বিগত ৫২ দিনে ১০১ জন মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে যার অধিকাংশ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। পেট্রলবোমাসহ নানা ধরণের নাশকতামূলক কাজে সহস্রাধিক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এক হাজার ১৭৩টি যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে ও ভাংচুর করা হয়েছে। ৬টি লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ২৫ দফায় ট্রেনে নাশকতা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, কেন বিএনপি-জামায়াত জোট এই নাশকতা করছে? তারা জানে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ৫ বছর। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন এই নাশকতা? কেউ কেউ এই কার্যক্রমকে রাজনৈতিক কার্যক্রম বলতে চায়। কিন্তু আসল কারণটা অন্য। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী সম্প্রতি আন্দোলনে ৭ দফা দাবি দিয়েছেন। এর মধ্যে জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য কোন দাবি নেই, সব দাবি ব্যক্তি স্বার্থের দাবি। আর এ কারণেই জনগণ তার সঙ্গে নেই।