হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ-আ’লীগ সংঘর্ষ: ৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩০:৩৯,অপরাহ্ন ০৬ জানুয়ারি ২০১৫
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::
হবিগঞ্জের বাহুবলের মিরপুরে বিএনপি-পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩শ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করে। এদিকে, এ ঘটনায় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বাহুবল প্রতিনিধিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে মিরপুরে ২০ দলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। কিন্তু ওই সময় পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় প্রতিকূল অবস্থায় পড়ে যায়। একপর্যায়ে তারা দৌড়ে আত্মরক্ষা করে।
পরে মিরপুর বিশ্বরোডে টহলরত পুলিশ, বাহুবল থানা পুলিশ ও কামাইছড়া পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ২০ দলের নেতাকর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সুপার অজয় কুমার ভদ্র ও এএসপি সাজ্জাদ ইবনে রায়হান ঘটনাস্থলে যান। এসময় পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ ৫০ জন আহত হয়। এরমধ্যে বাহুবল মডেল থানা ওসি আলী ফরিদসহ ১৫ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। গুরুতর আহত এএসআই মোজাম্মেল ও কনস্টেবল রুমনকে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার মিষ্টি ব্যবসায়ী খালেকুজ্জামান ও মাধবপুরের ব্যবসায়ী গেদু মিয়া।
এছাড়া মঙ্গলবার ভোরে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে দৈনিক যুগান্তরের বাহুবল প্রতিনিধি ছিদ্দিক আহমেদ মাসুমও রয়েছেন। পুলিশের দাবি, মাসুম জামায়াতের নেতা এবং নাশকতায় জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনায় বাহুবল থানার এসআই গৌরাঙ্গ কুমার বসু পুলিশ অ্যাসল্ট আইনে এবং এসআই মাসুম দ্রুত বিচার আইনে ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত তিনশ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন।
মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাহুবল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহমানকে।