স্ত্রী হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপির ছেলে গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০২:৪৭,অপরাহ্ন ১৪ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী হত্যার অভিযোগে যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের বড় ছেলে হুমায়ূন সুলতানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডে টিপুর বাড়ি থেকে হুমায়ুনের স্ত্রী শামারুফ মাহজাবিন কনার (২৪) লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে টিপুর পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বলে জানিয়েছিলেন। নিহতের বাবা নরুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে টিপুকে ধানমন্ডি থানা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। মামলায় অ্যাডভোকেট টিপু এবং তার স্ত্রী ডা. জেসমিন আরা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।
ধানমণ্ডি থানার ওসি আবু বকর জানান, রাতে কনার বাবা নুরুল ইসলাম যশোর থেকে এসে তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে জামাতা, বেয়াই ও বেয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হুমায়ুন ওই সময় থানায় ছিলেন।
যশোরে পিডব্লিওডির অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে কনার সঙ্গে দুই বছর আগে মনিরামপুরের সাবেক সংসদ সদস্য টিপুর বড় ছেলের বিয়ে হয়। কনা রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নি শেষ করার পর বিএসএমএমইউতে এফসিপিএস ডিগ্রি নিতে ভর্তি হয়েছিলেন। স্বামীর সঙ্গে ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে শ্বশুরের বাসায় থাকতেন কনা। ওই বাড়ি থেকে বিকালে টিপু সুলতানের স্ত্রী হলি ফ্যামিলির গাইনি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন আরা বেগম পুত্রবধূ কনাকে নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে যান।
টিপু সুলতান বলেন, বাসায় নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া কনাকে দরজা ভেঙে নামিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর থেকে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে পৌঁছে কনার বাবা নুরুল ইসলাম জানান, বিয়ের সময় তাদের জানানো হয়েছিলে যে হুমায়ুন ব্যারিস্টার, কিন্তু পরে তারা জানতে পারেন যে তাদের জামাতা ব্যারিস্টার নন। সবই মেনে নিয়েছিলাম, তারপরও মেয়েটাকে মেরে ফেলল।