স্কুলব্যাগে গুলিভর্তি পিস্তল, শিশুসহ আটক ৬
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৮:৫০,অপরাহ্ন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
স্কুলব্যাগে নেই কোনো বই, শুধুই অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিশুদের দিয়ে স্কুলব্যাগে করে চলছে অস্ত্র আনা নেয়া। আবার সেই অস্ত্র বিক্রিও করছে শিশুরাই। এমন অভিযোগ পেয়েই সদর উপজেলার ফতুল্লায় গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে আটক ও ম্যাগজিনসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে বুধবার রাতে এ অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, বুধবার দিনব্যাপী অভিযানে যে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজনই শিশু। তাদের দিয়েই মূলত অস্ত্র ব্যবসাগুলো করানো হতো। কৌশলগত কারণেই এসব শিশুদের অস্ত্র ব্যবসায় জড়ানো হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অস্ত্র উদ্ধার ও আটক সম্পর্কে ব্রিফিং করা হয়। এতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকারিয়া, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে ফতুল্লা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ। আটককৃতরা হলেন- ইমরান (২০), শাকিল (১৩) ও আল আমিন (১২)। তারা প্রত্যেকেই ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা দারোগা বাড়ী মোড় এলাকায় বসবাস করে।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদউল্লাহ জানান, আটককৃত ইমরান কিছুদিন আগে ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ী এলাকায় বসবাস করতো। ওই সময় মাইদুল নামে তার এক বন্ধু ছিল। সে বন্ধুর কাছে আরো দুই কিশোর নিয়ে বুধবার দুপুরে বাড্ডা থেকে আসে একটি পিস্তল বিক্রির জন্য। মাইদুল পিস্তল ক্রয়ের বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করার জন্য সময় চেয়ে আমাকে জানায়। আমি ক্রয় করবো বলে তাকে জানালে সে তাদের আমার কাছে নিয়ে আসে। এ সময় স্কুলব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে আমাকে দেখানোর সময় আশপাশের লোকজন ডেকে তাদের তিনজনকে আটক করি এবং থানায় ফোন করি। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, আটক তিনজনের মধ্যে ইমরানের কাছ থেকে ৫টি গুলিভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ৭ পয়েন্ট ৬২ বোরের পিস্তলের সঙ্গে একটি ম্যাগজিন ছিল।
এদিকে রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে ওই তিনজনের স্বীকারোক্তিতে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মাসুদ (২৮), জিসান (১২) ও বশির (২৩)। তাদের কাছ থেকে ৬টি ম্যাগজিন, তিনটি গুলি ও তিনটি ৭ পয়েন্ট ৬২ বোরের পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।