‘সৌদিতে ২০ লাখ শ্রমিক পাঠাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০৫:৫৬,অপরাহ্ন ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবে ২০ লাখ প্রশিক্ষিত শ্রমিক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৫ লাখ লোককে পঠানো হবে গৃহকর্মী হিসেবে। আরও রয়েছেন প্রকৌশলী, নার্স ও গাড়ির চালক। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল শহিদুল করিম বুধবার একথা জানিয়েছেন। তার বরাত দিয়ে আরব নিউজ এই তথ্য জানায়।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৪টি কেন্দ্র স্থাপণ করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়ে শহিদুল করিম বলেন, ‘আমরা ২০ লাখ দক্ষ শ্রমিকের ডাটাবেজ তৈরি করেছি।’
তিনি জানান, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল শিগগিরই শ্রম চুক্তি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ সফর করবে।
শহিদুল করিম জানান, বাংলাদেশ সরকার সৌদিতে শ্রমিক পাঠানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি মন্ত্রণালয়ও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সৌদি সরকার চুক্তি স্বাক্ষরের পরই কেবল শ্রমিক পাঠানো যাবে।
শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের সব শর্ত পূরণে বাংলাদেশ রাজি আছে উল্লেখ করে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের জানিয়েছে প্রায় ৫ লাখ গৃহকর্মী সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।’
কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বারের লেবার মার্কেট কমিটির চেয়ারম্যন মনসুর বিন আব্দুল্লাহ আল শাত্রি জানান, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে ন্যায্য মূল্যে পর্যাপ্ত বিদেশি শ্রমিক সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে করে সৌদিতে যেসব দেশ শ্রমিক পাঠায় তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠবে।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে এ সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমি মনে করি বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৌদিতে আসা শুরু হলে অন্যান্য দেশগুলো বাধ্য হবে শ্রমিক পাঠানোর খরচ কমাতে। ‘
দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরব। সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই হিসাবে সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। ২০০৮ সালে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক নিতো সৌদি আরব।
শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যেতে একজন শ্রমিকের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না বলে গত ২৫ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে যেতে শ্রমিকদের প্র্যাকটিকালি তেমন কোনও খরচ নেই। চাকরিদাতাই লেভি, ভিসা, যাতায়াত এবং মেডিক্যালসহ অন্যান্য খরচ বহন করবে।’