সৈয়দপুরে শীতের পরশে ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৪:০৪,অপরাহ্ন ০১ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: কুয়াশার চাদর মুড়ে শীত এসেছে। সকাল-সন্ধ্যার শীতে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ধোঁয়া উঠা ‘ভাপা’ পিঠার স্বাদ পেতে ভালোবাসে না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। এ কারণে শহর ও গ্রামের মোড়ে মোড়ে ভাপা খাওয়ার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কারণেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভাপা পিঠার পাশাপাশি চিতই পিঠা, তেল পিঠার দোকান নিয়ে বসছেন বিভিন্ন স্থানে।
শীতের সকাল আর সন্ধ্যায় হাওয়ায় ভাসছে এসব পিঠার ঘ্রাণ। নতুন খেঁজুরের গুড়, আর নতুন চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি হয় এসব পিঠা। গরম পানির ভাপে এ পিঠা তৈরি হয় বলে এর নাম হয়েছে ভাপা পিঠা। পিঠাকে মুখরোচক করতে গুড় আর নারিকেলের সাথে সামান্য পরিমাণ লবন মেশানো হয়। এতেই স্বাদ বাড়ে বলে জানিয়েছেন দোকানীরা। ভাপা পিঠা তৈরিতে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, মাটির হাঁড়ি ও মাঝ বরাবর বড় ছিদ্র করা মাটির ঢাকনা। হাঁড়িতে ছিদ্র করা ঢাকনা লাগিয়ে আটা গুলিয়ে ঢাকনার চারপাশ ভালোভাবে মুড়ে দিতে হয়, যাতে করে হাঁড়ির ভেতরে থাকা গরম পানির ভাপ বের না হতে পারে। ছোট গোল বাটি জাতীয় পাত্রে চালের গুঁড়া খানিকটা দিয়ে তারপর খেঁজুর অথবা আখের গুড় দিয়ে আবার কিছু চালের গুঁড়া দিয়ে বাটিটি পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে ঢাকনার ছিদ্রের মাঝখানে বসিয়ে দেয়া হয়। ২-৩ মিনিট ভাপে রেখে সিদ্ধ হয়ে তৈরি হয় মজাদার ভাপা পিঠা। প্রতিটি ভাপা পিঠা বিক্রি হয় ৫ থেকে ১০ টাকায়।
চিতই পিঠা আটা গুলিয়ে তাওয়ায় বসিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয় মজাদার চিতই পিঠা। চাটনি ও গুঁড় দিয়ে দোকানীরা পরিবেশন করেন। প্রতিটি বিক্রি হয় ২/৩ টাকায়। তেল পিঠা তৈরিতে নতুন চালের গুঁড়া পানিতে গুলিয়ে গুড়, কালো জিরা দিয়ে তেলে ভেজে নিয়ে তৈরি করা হয় তেল পিঠা। যা বিক্রি হয় ৫ টাকায়। কম পুঁজিতে যে কোন স্থানে সহজে বাজারজাত করা যায় বলে অনেক ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এসব পিঠার দোকান করতে আগ্রহি হয়ে উঠেছেন। এই পিঠা বাঙালির বারো মাসের তেরো পর্বনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতদিন প্রকৃতিতে শীত থাকবে ততদিন দেখা মিলবে ভাপা, চিতই আর তেল পিঠার।