সুপ্রিমকোর্টে আ.লীগ-বিএনপি আইনজীবীদের পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৪:৪৪,অপরাহ্ন ০৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: দেশব্যাপি চলমান ‘অবরোধের’ পক্ষে, বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনের চত্ত্বরে পাল্টাপাল্টি এই কর্মসুচি পালন করেন আওয়ামী লীগ পন্থী ও বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা।
সমিতির ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও আইন-অঙ্গনে নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।
অপরদিকে একই চত্ত্বরের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে খালেদা জিয়াকে বন্ধী রাখা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রতিবাদ সভা পালন করেন।
সমন্বয় পরিষদের আহবাক আব্দুল বাসেম মজুমদার বলেন, গত ২০১৩ সালে জামাত-শিবির যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল তারপর বর্তমান সরকার ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে দেশে সুষ্ঠ অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যে নিবার্চন সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ওই নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত পরাজিত হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী পন্থি এই আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এ নৈরাজ্য হতে দেবে না।
সুপ্রিমাকোর্টের মতো একটি পবিত্র জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে সকল আইনজীবীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করবে বলেও জানান তিনি। যতদিন বিএনপির আইনজীবীরা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবে ততদিন আমাদের এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে, বলেন তিনি।
বিচারপতির গাড়ীতে হামলা, বাড়িতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে অ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার বলেন, তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নাই। বিএনপি জামায়াতের এই নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সমন্বয় পরিষদ কর্মসুচি ঘোষণা করেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ন মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, গণতন্ত্র আজ ক্রান্তি লগ্নে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আজ তার কণ্যা শেখ হাসিনা বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ করে দেখাচ্ছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কলঙ্কিত উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান সংসদকে গণতান্ত্রিক সংসদ বলা যায় না। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়নি। এই সংসদ জনগণের প্রতিনিত্ব করে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সকল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্য ন্ত দেশের সকল জেলা বারে বিক্ষোভ কর্মসুচি ঘোষণা করেন বিএনপি পন্থি এই আইনজীবী।
এ সময় বিএনপি-জামায়াত পন্থী আইনজীবীরা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।