সুনামির দশ বছর পূর্তিতে নিহতদের জন্য প্রার্থনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৮:০০,অপরাহ্ন ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
ভারত মহাসাগরে সুনামি আঘাত হানার দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ শহরে সমবেত হয়েছেন। সেখানে নিহতদের জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুনামির শিকার হতভাগ্য মানুষদের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আজ।
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের এবং আন্তর্জাতিকভাবে যারা সাহায্য করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহ শহর ২০০৪ সালের সেই শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল।
ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতের পরও শহরে দাঁড়িয়ে থাকা ১৯ শতকের কয়েকটি ভবনের একটি সেখানকার গ্র্যান্ড মস্ক বা বাইতুর রহমান মসজিদ।
সেখানে নিহতদের জন্য স্মরণে এসেছিলেন হাজার হাজার ইন্দোনেশিয়ান।
তাদের একজন ডালিয়া নামের এক নারী বলছিলেন, সুনামি তাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিলেও তারা আশার আলো দেখেছেন।
ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সেই সুনামির উৎস ছিল সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠে এক ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯.১ মাত্রার। বিশ্বের ইতিহাসে এটি ছিল তৃতীয় শক্তিশালী ভূমিকম্প। যার ধাক্কায় সমুদ্রের ঢেউ উঠেছিল ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট উঁচুতে।
আটশো কিলোমিটার গতিতে প্রচণ্ড সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ, শ্রীলঙ্কা, ভারতের আন্দামান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড ও সোমালিয়ার উপকূলে।
নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লাখের কাছাকাছি। শুধুমাত্র আচেহ প্রদেশে মারা গিয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ। নিখোঁজ হন প্রায় দুই লাখ মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন, জীবিকা হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সবমিলিয়ে এক হাজার কোটি ডলার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
১০ বছর পর ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতি সামলে উঠলেও মনের ক্ষত এখনো মেলেনি।