সুনামগঞ্জে চার মামলায় বিএনপির ৭ শতাধিক নেতাকর্মী আসামী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৩:২৯,অপরাহ্ন ১০ জানুয়ারি ২০১৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে অবরোধ চলাকালে এ পর্যন্ত চারটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামী করা হয়েছে ৭ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার এড়াতে দলটির আতঙ্কিত নেতাকর্মীরা বাড়ি ছাড়া অবস্থায় রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুইটি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় দুইটি মামলায় বিএনপির ১৭৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম মওলা তোহাসহ ৯৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ সদর থানায় সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে জেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক ও সুনামগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল-নোমান, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরুলসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আরও ৩০ অজ্ঞাতকে আসামী করা হয়।
৮ জানুয়ারি শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংর্ঘষের ঘটনায় এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে ৩৭ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৮০ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। ৬ জানুয়ারি দক্ষিণ সুনামঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধের চেষ্টায় এসআই হাবিব বাদি হয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া উপজেলার পাগলা বাজারে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদি হয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমদকে আসামি করে ৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন ।
সূত্র জানায় দলীয় কোন্দলের কারনে ধর্মপাশা উপজেলা সদরে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমীন বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির আহবায়ক মোতালেব খানকে প্রধান আসামি করে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, সরকারের নির্দেশে ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে । আবার নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফারুক আহমেদ বলেন, আমার পরিবারের ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, প্রতিদিন আমার গ্রামের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর-রশিদ জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অপরাধী ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।