সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাননি কয়েস লোদী : বহাল রয়েছেন সালেহ আহমদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৩:৫৫,অপরাহ্ন ১১ জানুয়ারি ২০১৫
মারুফ হাসান::
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাননি ১ম প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। দায়িত্বে বহাল আছেন প্যানেল মেয়র (২) এ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ।
১১ জানুয়ারি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিতে ১ম প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর কয়েস লোদী সমর্থতকদের বিশাল মিছিল নিয়ে নগর ভবনে উপস্থিত হন সকাল ১১টার দিকে। এদিকে নগর ভবনে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন কারান্তরীন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মনোনীত ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্যানেল মেয়র (২) এ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ। অফিস কক্ষে মেয়র আসনে সালেহ আহমদ অবস্থান করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠে। পরে প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবীবের কার্যালয়ে কয়েস লোদীকে নিয়ে কাউন্সিলরদের রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পনে ৩ ঘন্টা বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসেন কাউন্সিলরা।
উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন- আরিফুল হক চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদই দায়িত্বে বহাল থাকবেন। বৈঠকে সকলের সম্মতিতে এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তণালয় কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে। আমরা তার আসু মুক্তি কামনা করি । দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, আজ তা সমাধান হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী নির্বাচিত মেয়র যাকে দায়িত্ব দেবেন তিনিই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মেয়রের কাছে কাগজ-পত্র পাঠানো হবে। আমরা তার সিদ্ধান্ত মেনে নিবো।
প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার এখতিয়ার নির্বাচিত মেয়রের। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে সিটি করপোরেশন পক্ষ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট পাঠানো হবে। কারান্তরিণ মেয়র আরিফ যাকে দায়িত্ব দেবেন তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব নগর ভবনে অনুপস্থিত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে যাবার আগে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দিয়ে যান প্যানেল মেয়র (২) এ্যাডভোকেট সালেহ আহমদকে। অপরদিকে আরিফকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয় প্যানেল মেয়র (১)কে দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে। তাতেই উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।