সিলেট বিভাগে উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন যারা
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫১:২৪,অপরাহ্ন ১১ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: প্রথম ধাপে রোববার দেশের বিভিন্ন জেলায় ৭৮টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বিভিন্ন জেলার ৭৮টিসহ সিলেট বিভাগের ১৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জের ৮ টি ও সুনামগঞ্জে ৯ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে নির্বাচন।
রোববার (১০ মার্চ) দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। শেষ খবর অনুযায়ী সুনামগঞ্জের ৯ উপজেলা চেয়ারম্যান পদের ৫টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। আর ৪ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩ টিতে ও ১টি উপজেলায় বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
আর হবিগঞ্জের ৮ টি উপজেলার ৪ টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ৪ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, একটিতে বিএনপির (স্বতন্ত্র) ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল হুদা চপল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিষ কান্তি দে মিন্টু (ঘোড়া প্রতীক)।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সফর আলী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশীদ।দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালামকে হারিয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) ফারুক আহমদ।
দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রদীপ রায়।
শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস।
ধর্মপাশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন রোখন । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদ।
তাহিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী করুনা সিন্ধু বাবুল জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুল হক।ছাতক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. ফজলুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ডা. মো. আব্দুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু।
হবিগঞ্জ জেলার ৮ টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৪ উপজেলায়।
লাখাই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ (নৌকা প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন।আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মর্তুজা হাসান (নৌকা প্রতীক)। বানিয়াচং উপজেলায় নৌকা প্রতীকের আবুল কাশেমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। চুনারুঘাট উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাদির লস্কর (নৌকা প্রতীক)।
অপরদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোতাচ্ছিরুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নবীগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক সেলিম।
এছাড়া বাহুবল উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ খলিলুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। মাধবপুর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান (ঘোড়া প্রতীক)।
প্রসঙ্গত, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করেছিলো ইসি। পরবর্তীতে আদালত ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ৬টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩টি উপজেলায় সকল পদে নির্বাচিত হওয়ায় ৭৮ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ধাপে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের মোট ১৭ টি উপজেলায় ভোট হয় রোববার। এর আগে এসব উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।