সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন : ফয়জুল ও ফখরুলের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৭:৪০,অপরাহ্ন ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
এলাকাবাসী ছিনতাইকারী ও অপরাধের মূলহোতা ফয়জুল ইসলাম সুমন ও ফখরুল ইসলাম এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। কেশবপুর গ্রামের রইছ আলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ পাওয়ার পর থেকেই তার এই দুই ছেলে ফয়জুল ও ফখরুলের বিভিন্ন অপরাধের কারণে এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ চরম অশান্তিতে ভোগছেন। নিরিহ লোকের ফসলী জমি জোরপূর্বকভাবে দখল, গাড়ি ছিনতাই, মদ, জোয়া, নারী ব্যবসা, ওসি, দারোগাকে হুমকি, শিক্ষক, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় লোকজন কে ভয়ভীতি দেখিয়ে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। ৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ উপজেলার জাগির গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিশ্বনাথ থানার লামাকাজি বাজারে তার আহমদ ম্যানশন নামে মালিকাধীন একটি মার্কেট রয়েছে। ঐ মার্কেটের উপর সন্ত্রাসী চক্রের দৃষ্টি পড়ে। মার্কেটের একটি দোকান ঘর গত পহেলা আগস্ট থেকে বেনু দাস নামের এক ব্যক্তিকে ভাড়া প্রদান করা হয়। গত ১১ অক্টোবর দিন দুপুরে ফয়জুল ও ফখরুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দোকান থেকে বেনু দাসের মালামাল বাইরে বের করে দোকানটি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় ফরিদ আহমদ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসীসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি সমাধান চেয়ে বার বার ধর্ণা দেন। পরে কোনো সুফল না পেয়ে ফরিদ সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপার, র্যাব-৯ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ প্রদান করেন।
সন্ত্রাসীদের কবল থেকে দোকান ঘরটি উদ্ধারের জন্য ফরিদ বিশ্বনাথের স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন। তারা সরেজমিনে দেখতে পান দোকানের ভিতর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগিয়ে দোকান ঘর দখল করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয় করেছে ফয়জুল। এছাড়া দোকান দখল করে যুবলীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীর ছবি দিয়ে লিফলেট করে উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে চাঁদা আদায় করছে সে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে গত ২৬ নভেম্বর গভীর রাতে আহমদ ম্যানশনে হঠাৎ করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দখলকৃত কার্যালয়সহ মোট ৫টি দোকান আগুনে ভস্মিভুত হয়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় সেদিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় মার্কেট সংলগ্ন ফরিদের বসতবাড়ি। এদিকে পরদিন সকালে মার্কেটের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে ফয়জুলের দখলকৃত সেই দোকান কোটা থেকে। ওই দোকানের একদিকের সাটারও খোলা পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর ফরিদ বিশ্বনাথ থানায় মাহতাবপুর গ্রামের জমশেদ আলীর পুত্র শাহীন ও হাজরাই গ্রামের মৃত জাহির আলীর পুত্র আশরাফকে আসামি করে মামলা (নং ১৬) দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকেই ফয়জুল ও তার লোকজন ফরিদকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশসহ নানাভাবে নাজেহালের হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া ফেইসবুকে স্টেটাসের মাধ্যমে ফয়জুল থানার ওসি, এসআইসহ ফরিদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ ওই সন্ত্রাসী চক্র সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে মামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চাইছে। তারা ফরিদের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ফরিদ আহমদ।