সিলেটে সাংবাদিক-পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৪৫:১২,অপরাহ্ন ০১ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক ::
নগরীর তাঁতীপাড়ায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের বাসায় বোমা হামলার বিস্ফোরক মামলায় এক টেলিভিশন সাংবাদিক ও তিন পুলিশসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল রবিবার সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) এর বিচারক মো. মঈদুল ইসলাম জামিন অযোগ্য এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় সাক্ষী সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও মো. জয়নাল আবেদীনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকৃত সাক্ষীরা হচ্ছেন- বড়লেখা থানার ভোলাকান্দি গ্রামের (বর্তমানে নগরীর তাঁতীপাড়া ২২ নং বাসার বাসিন্দা) হামিদা বেগম, এনটিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মঈনুল হক বুলবুল, কোতোয়ালী থানার কনস্টেবল/৫৮৬ আব্দুল শুকুর, কনস্টেবল/৩৭৮ শওকত হোসেন ও কনস্টেবল/৯৪৩ এরফান আলী।
মামলার ৩২ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এর আগে রবিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পুলিশ এ মামলায় অভিযুক্ত হরকাতুল জিহাদের হুজির শীর্ষ নেতা মুফতী আব্দুল হান্নান, দেলোয়ার হোসেন রিপন, মো. শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মো. মফিজুল ইসলাম ওরফে অভি ওরফে মুহিব উল্লাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাছুম বিল্লাহকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার অন্য আসামি হুমায়ুন কবীর হিমু বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে সিলেট নগরীর তাঁতীপাড়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হকের বাসায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। এসময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে সৈয়দা জেবুন্নেছা হকসহ আট নেত্রী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় জেবুন্নেছা হকের স্বামী এনামুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিলেট সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. শামীম উর রশীদ পীর উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট চার্জগঠন করে বিচারকার্য শুরু হয়।