সিলেটে রমজানের শুরুতেই বাজারে আগুন
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৫:২০,অপরাহ্ন ২০ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে রমজানের শুরুতেই প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। বেড়ে গেছে সবজির দাম। এছাড়া রমজানে চাহিদা বেড়ে যাওয়া পণ্যগুলোর দামও বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ছোলার দাম উর্ধমুখী।
সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৮ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা বিক্রি হলেও বুধবার বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দামে। আদা ছিল ১শ’ ২০ টাকা , তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১শ’ ৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও রসুনের কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। বুধবার প্রতি কেজি রসুন ১শ’ থেকে ১শ’ ৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। রমজানে চাহিদা বেড়ে যাওয়া ছোলার দামও বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া ছোলা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। তবে চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
দাম বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে সিলেটের কাঁচাবাজারগুলোতেও। সিলেটের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব বাজারেই জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ৩০-৪০ টাকা, গতকাল তা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা বাজারের প্রায় সব পণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা হারে বেড়েছে। আবার কোন কোন পণ্যে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। জালি কুমড়া গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা, গতকাল তা’ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঝিঙ্গা ৩৫ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, চিচিংগা ৩৫ টাকা, গাঁজর ৪৫ টাকা, কাকরোল ৩০ টাকা, পটল ২০ টাকা, বরবটি ৩৫ টাকা, মুকি ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ধনিয়া পাতা প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা করে বেড়ে গেছে। বর্তমানে ২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ধনিয়া পাতা।
দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিনে সারা মাসের বাজার করার প্রবণতার কারণেই পণ্যের সরবরাহে টান পড়েছে। ফলে দাম বেড়েছে। পাশাপাশি টানা বৃষ্টিপাতের কারণেও পণ্যের দাম বেড়েছে বলে তারা জানান।
এদিকে, সব বাজার ও দোকানের সামনে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশ থাকলেও বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ রকম তালিকার দেখা খুব কমই পাওয়া গেছে। দু-একটি দোকানে তালিকা লাগানো থাকলেও অধিকাংশ দোকানের তালিকা ‘গোপন’ জায়গায় রাখা হয়েছে।
সবজির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে সুবহানীঘাট নবাব আলী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব বশির আহমদ জানান, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন মতো সবজি সরবরাহ হচ্ছে না। তাই, বাধ্য হয়ে তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করে সামঞ্জস্য রেখে তা বিক্রি করছেন।