সিলেটে এবার ২ তারকা নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:০১:৩৭,অপরাহ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটসহ সারা দেশে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আর এই আন্দোলনে কেউ গ্রেফ্তারের ভয়ে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য দেশে ফিরছেন। তবে দেশে ফেরার নজির খুবই কম দেখা যায়। দেশে ফেরে আন্দোলনে শরিক হয়েছেন এমন নেতা হলেন সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান। তারই সাথে পাল্লা দিয়ে মাঠে রয়েছের সিলেটের এক ছাত্র নেতা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন।
এই দুই নেতাকে সিলেটে ২ তারকা নেতা বলে মনে করেন অনেকে। কেননা বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যখনই আন্দোলনের ডাক আসে তখনই আর ঘরে বসে থাকেন না এই দুই নেতা। আর পুলিশ তখনই তাদেরকে গ্রেফ্তারের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে।
সে সুবাদে এবারও এই দুই নেতা রাগ অভিমান ভুলে মাঠে নামলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফ্তারে জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই এবার সিলেটের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য এই ২ তারকা নেতার ওপর মামলা করেছে পুলিশ।
রবিবার সিলেট কোতায়ালী থানায় এই দুই তারকা নেতাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এস আই মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে তাদের বিরোদ্ধে নগরীর সোবহানীঘাটে একটি গাড়ি পুড়ানো মামলা দায়ের করেন ।
এদিকে ৫ই জানুয়ারির পর থেকে এই দুই নেতাকে গ্রেফ্তারের জন্য প্রতিদিন তাদের বাসা ভাড়িতে পুলিশ তল্লাশী করছে বলে তাদের পরিবার অভিযোগ করেন। এমনকি পুলিশের তল্লাশী থেকে বাদ যাচ্ছে না তাদের পরিচিত ব্যাক্তি ও আত্মীয় স্বজনদের বাসা বাড়ি। তবে দলের জন্য এই ২ নেতা প্রতিবার আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা পালন করলে ও তাদেরকে প্রতিবারেই অবমূল্যায়ন করা হয় বলে জানান তাদের অনুসারীরা।
তাছাড়া তৃণমুল নেতা কর্মীরা বলেন, এই দুই নেতাকে যদি সঠিক মূল্যায়ন করা হত তাহলে সিলেটের আন্দোলন আরো জমে উঠতো। তবে এবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুল্যায়নের ক্ষেত্রে আর ভুল করবেন না বলে তারা মনে করেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সিলেট সোবহানীঘাট পয়েন্টে একটি বাসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।