সিলেটের জাংগাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম চলছে খোলা আকাশের নিচে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৪:০১,অপরাহ্ন ২৮ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেট সদর উপজেলা কান্দিগাঁও ইউনিয়নের জাংগাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত নতুন ভবনটি ভূমি কম্পের আঘাতে সম্পূর্ণ বিল্ডিংয়ে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। নতুন ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় আতংকি হয়ে পড়েছে শিক-ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকবৃন্দ।
তবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই সময় পরীক্ষা চলার কারণে বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
১৯২৭ ইং স্থাপিত জাংগাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি অনেক পুরোন ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা অধিদফতরে অর্থায়নে ৪ তলা ফাউন্ডেশনের এক তলা নির্মিত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১০ইং বাংলাদেশে সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ভবনটি উদ্বোধন করেন । এবং শুরু করা হয় এতে শিক্ষাকার্যক্রম।
সরে জমিন ঘুরে দেখা গেছে, ২০১১ সালে নবনির্মিত ৪ তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটির সম্প্রতি ভূমিকম্পের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভবনটিতে শিক্ষাকার্যক্রম চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ খোলা আকাশে নিচে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের শিক্ষকার্যক্রম।
এব্যাপারে জাংগাইল স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হক সিলেটের সকালকে জানান, ১৯২৭ সালে জাংগাইল স্কুলটি যাত্রা শুরু করে স্কুলের মূল ভবনটি অনেক পুরোন হওয়ায় এবং ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরে অর্থায়নে এই নতুন ৪তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ভবনটি নির্মাণ ত্র“টির কারণে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফাটল সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ভূমিকম্পের আঘাতে ভবনটি ছাদ, দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ কারণে স্কুলের কোমল মতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জনিত কারণে তাদের ভবন থেকে সরিয়ে স্কুলের মাঠে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্যে আমরা শিকদের নির্দেশ দিয়েছি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হাম্মুন নেছা জানান, সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরিচালনার কারণে বাধ্য হয়ে স্কুল কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী স্কুলের মাঠে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে আতংকের শেষ হচ্ছে না। এমনকি আমরাও এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সামনে কোমলমতি শিক্ষর্থীদের নিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম চালাতে আমরাও আতংকিত।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষাঅফিসার মহিউদ্দিন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে আমরা অবগত আছি এবং স্কুল ভবনটি ফাটলের খবর পেয়ে আমরা তার পরিদর্শনের জন্য ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হককে স্কুলের পাঠিয়েছি।
তবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল কমিটিকে আমরা ভবনটিতে শিক্ষাকার্যক্রম না চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারে সার্বিক পর্যবেনের পর পরবর্তিতে আমরা একটি স্থায়ী সমাধানে আসতে পারব বলে তিনি জানান।