সিলেটের গির্জাগুলোতে র্যাবের কঠোর নিরাপত্তা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫০:০৩,অপরাহ্ন ১৮ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর সিলেট বিভাগের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় সিলেটে খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়গুলোতে কেউ যাতে কোন ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে এই নিরাপত্তা জোরদার করে র্যাব-৯।রোববার (১৭ মার্চ) রাতে র্যাব-৯-এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সিলেট বিভাগের চার্চগুলোতে আমরা প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চার্চগুলোর নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন ১০০ জন র্যাব সদস্য।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের সময় প্রথমে আল নূর মসজিদে ঢুকে সেমি অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালান ট্যারেন্ট। পুরো ঘটনা তিনি হেলমেটে বসানো ক্যামেরা দিয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন।
আল নূরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গাড়ি নিয়ে ট্যারেন্ট যান পাঁচ কিলোমিটার দূরে লিনউড মসজিদে। সেখানেও একই কায়দায় গুলি শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে মসজিদের খাদেম ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে গিয়েঅস্ত্র কেড়ে নিলে বাইরে অপেক্ষায় থাকা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান ট্যারেন্ট।
কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ চারজনকে আটক করার কথা জানায়। একটি গাড়িতে বেশ কিছু বিস্ফোরক পাওয়ার পর তা নিষ্ক্রিয় করা হয়।এই হামলার ঘটনার সময় আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন সদস্য। অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যান।
ক্রাইস্টচার্চের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ জানান, আল নূর মসজিদেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। সেখানেই আরেকটি লাশ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জন হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক। এছাড়া এই ঘটনায় তিন জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। যাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলে নিউ জিল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে।