সিটি নির্বাচনের কোন অভিযোগ আমলে আনা হবে না
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৫:১১,অপরাহ্ন ০৩ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক ::
রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কোন অভিযোগ আমলে আনা হবে না। খালেদা জিয়া পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে আবার সিটি নির্বাচনে ভোট চেয়েছেন। তাদের মানুষ প্রত্যাক্ষান করেছে।
রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ সব কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মিথ্যাবাদী দল। সিটি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছে। আগে ৪টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে। তখন তারা কোন মন্তব্য করেনি। নির্বাচনে পরাজিত হলেই তারা কারচুপির অভিযোগ আনে।
তিনি খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার নাশকতা অরাজকতা ও ধ্বাংসাত্মক কর্মকান্ড প্রতিহত করা হবে। তিনি আন্দোলন ও অবরোধের নামে রেলের বগি, ইঞ্জিনে আগুন দিয়ে দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হামিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বিদেশে আমাদের মান সম্মান ইজ্জ্বত বেড়েছে। আমার মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছি। তখন খালেদা দিয়ে ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড চালিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ইনসাল্লাহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব।
এর আগে মন্ত্রী স্ত্রী হনুফা আক্তার রিতাকে সাথে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন, ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রী। বাদ যোহর মন্ত্রী সমাধিসৌধ মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোমিনুর রহমান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারন সম্পাদক শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র মোঃ ইলিয়াস হোসেনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন প্রায় তিন মাস যাবৎ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বিএনপি’র গুলশান কার্যালয় থেকে শুন্য হাতে ফিরে গেছেন। তিনি বাঙ্গলী জাতিকে কোন কিছু দিতে পারেনি।
মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। স্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফাতেহাপাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেছি। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদে দোয়া মোনাজাত করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা রেলের নতুন নতুন ইঞ্জিন, বগি এনেছি, পুরাতন লাইন সংস্কার করেছি। নতুন লাইন স্থাপন করেছি। রেলকে অধুনিকায়ন করা হচ্ছে। গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এ লাইনের কাজ সম্পন্ন করতে পারব।
স্বস্ত্রীক রেলমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া আগমনের খবরে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে উৎসুক জনতার ভির বাড়ে। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে এক পলক দেখে তারা আনন্দ পান। মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ থেকে বের হওয়ার সময় বিভিন্ন বয়সের উৎসুক জনতা তার পিছু নেন।