সিঙ্গাপুরে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫২:৩১,অপরাহ্ন ০১ নভেম্বর ২০১৪
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, সিঙ্গাপুর: ধুমধামের সঙ্গে উদ্বোধন হলো দর্পণ আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড কপথোর্ন ওয়াটারফ্রন্ট হোটেলে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরের শিল্পী সমাবেশে প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান ও ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পারমিতা ত্রিপাঠি। উৎসব চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
নাম যদিও ‘বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, দর্পণ কিন্তু শুধু বাংলা ছবিতেই নিজেকে গুটিয়ে রাখেনি। বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা সিনেমার পাশাপাশি এই উৎসবে ভোজপুরি, মারাঠি, তামিল ও হিন্দি সিনেমাও স্থান পেয়েছে। উদ্বোধনে এই উৎসবের চেয়ারপারসন শ্রেয়শী সেন বলেন, ‘দর্পণ চলচ্চিত্র উৎসব এবার তৃতীয় বছরে পা দিল। আগামী দিনে এই উৎসবকে প্রতিযোগিতমূলক করে তোলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।’ সিঙ্গাপুর ফিল্ম সোসাইটির চেয়ারম্যান কেনেথ ট্যান জানান, ‘দর্পণ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে সিঙ্গাপুর বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম ঠিকানা হয়ে উঠবে।’ ট্যানের কথার রেশ টেনেই এই উৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে দর্পণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের অন্য প্রান্তের সিনেমাকে সিঙ্গাপুরে টেনে এনেছে। মাত্র তিন বছরে এটা বিরাট সাফল্য। শুধু তাই নয়, এ বছরেই যুক্ত হয়েছে শর্ট ফিল্ম বিভাগ। দারুণ সব কাজ হচ্ছে। মানুষ আগামী দিনে হাতের তালুতে মুঠোফোনে সিনেমা দেখবে। শর্ট ফিল্ম সেই দিনই এগিয়ে আনছে।’
বাংলাদেশ থেকে এবার এসেছে দুটি ছবি। বৃহন্নলা ও সংগ্রাম। উৎসবে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে এসেছেন অভিনেতা ফেরদৌস ও অভিনেত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুহি। এসেছেন দুই পরিচালক মুরাদ পারভেজ ও মনসুর আলী। ফেরদৌস আগের বছরও সিঙ্গাপুরে এসেছিলেন। দর্পণের অগ্রগতি তাঁকে অবাক করেছে। তিনি জানান, ‘এত কম সময়ে এই অগ্রগতি বিস্ময়ের। আরও অবাক লাগে, যখন শুনি এই বন্দর শহরে বাণিজ্যিকভাবে বাংলা সিনেমা চালানো হচ্ছে। দর্পণের জন্যই তা সম্ভব।’ বৃহন্নলার পরিচালক মুরাদ পারভেজ জানান, ‘সিনেমা এমন একটা মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে অনেক কিছুরই আদান-প্রদান হয়। হানাহানি ও বিদ্বেষের বদলে সুচিন্তা ও ভাবনার বিকাশই ঘটাতে চেয়েছি বৃহন্নলায়।’
নাচে, গানে জমজমাট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাহুল বোস, যীশু সেনগুপ্ত, আশিস বিদ্যার্থী, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, পরিচালক অরিন্দম শীল, রবি যাধব, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়রা। উৎসবের শুরু সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত রাহুল বোস, কঙ্কনা সেন শর্মা, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত শেষের কবিতা দিয়ে। শেষ ছবি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের অপুর পাঁচালি।