সাতক্ষীরায় প্রতিবেশীর বাঁধার মুখে বসতবাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না এক স্কুল শিক্ষিকা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৩:১৭,অপরাহ্ন ০৫ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বৈধ ভাবে জমি ক্রয়ের পর স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না এক স্কুল শিক্ষিকা। প্রতিবেশীরা তাকে নানা ভাবে হয়রানি করে ওই জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। আজ সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কলারোয়া পৌর সদরের তুলশীডাঙ্গা এলাকার প্রাইমারী স্কুল শিক্ষিকা রওশন আরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে কলারোয়া পৌর সদরের তুলশীডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলামের কাছ থেকে টালি শেডের দু’টি রূমসহ সাড়ে ৬ শতক জমি ক্রয় করে তিনি সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু তার সরলতার সুযোগ নিয়ে জমির মালিক নজরুল ইসলামের অপর দুই শরীক মোসলেম গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ ও তার স্ত্রী মমতাজ এবং সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে টাইগার খোকন তাকে উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা ওই জমি নিজেদের দখলে নেয়ার জন্য তার (স্কুল শিক্ষিকা) নামে একাধিক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। এক পর্যায় ২০১৩ সালে হাবিবুল্লাহ ও টাইগার খোকন গংরা তার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে জমি থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত পরে তিনি কলারোয়া পৌরসভা থেকে নকশা পাশ করিয়ে ওই জমিতে এক ইউনিটের বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এসময় হাবিবুল্লা ও সিরাজুল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা তাকে বাড়ি করতে না দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায় ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ তারা নির্মাণাধীন ভবনের কলাম, বীম, রেলিং ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এর পরও তিনি নকশা অনুযায়ী ওই জমিতে দু’টি রূম নির্মাণ করে ছাদ ঢালাই দিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু নকশা অনুযায়ী বাড়ির বাকী নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখার চেষ্টা করলে ১৭ মে হাবিবুল্লা, টাইগার খোকন ও সিরাজুল গংরা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
তারা বাড়ির বাঁকী কাজ না করে ওই জমি তাদের কাছে বিক্রি করে অন্যত্রে চলে যাওয়ার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাসহ জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি। প্রকারন্ত্রে তারা অন্যায় ভাবে তার বিরুদ্ধচারন করেছে। হাবিবুল্লাহ, টাইগার খোকন, সিরাজুল ও মমতাজ গংরা এখনও তার উপর হুমকি অব্যহত রেখেছে। তারা তাকে চাকুরীচ্যুত করারও ষড়যন্ত্র করছে। যে কোন মুহুর্ত্বে তারা তাকেসহ তার কন্যাদের নানাবিধ ক্ষতি করতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করছেন। তিনি যাতে পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তার বসতবাড়ির বাঁকী নির্মাণ কাজ শেষ করে দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে সেখানে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।