সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে সংর্ঘষে ডাকাত গুলিবিদ্ধ, আটক ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫০:২৮,অপরাহ্ন ০৬ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে সংর্ঘষে ডাকাত গুলিবিদ্ধ, আটক ৩সাতক্ষীরা, ০৬ জানুয়ারি, এবিনিউজ : সাতক্ষীরায় পুলিশের সাথে সংর্ঘষে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ফারুক হোসেন ওরফে পিচ্চি ফারুক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় আরও ২ ডাকাতকে। ডাকতদের ছোড়া বোমায় আহত হয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের দুই কনস্টেবল। মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ভোররাতে ছয়ঘরিয়ায় একদল ডাকাত রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ডাকাতদের ছোড়া বোমার আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ গুলিবর্ষণের পর ডাকাত দল ছয়ঘরিয়া ফাঁকা মাঠের পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ফারুক হোসেন ওরফে পিচ্চি ফারুকে আটক করে। সে সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের ফিরোজ গাজির ছেলে।
পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয় আরও দুই ডাকাত তারা হলেন- সদর উপজেলার গড়েরডাঙ্গা গ্রামের মোমিন গাজির ছেলে ইসাহাক আলি গাজী ও দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের আহমেদ আলী গাজীর ছেলে মিজনিুর রহমান গাজী।
পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি গাছের গুঁড়ি, ১টি লোহার শাবল, ১০-১২ হাত লম্বা মোটা রশি, ১টি কুড়াল ও বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধ ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি শহরে সিরিজ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসসহ নতুন বছরের ৪ তারিখ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা শহরের ১৭টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে কমপক্ষে আরো ৩০ বাড়িতে। জেলা শহরে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।